করোনায় মৃতদের চার শতাংশের বয়স ৩০ অনূর্ধ্ব
দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৫০০ জন করোনায় মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ২৩৭ জন এবং নারী ১ হাজার ২৬৩ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সীদের।
বয়সভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে মোট মৃতের মাত্র চার শতাংশের বয়স অনূর্ধ্ব ৩০ বছর। সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের।
মোট মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সের ২৬ জন (শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের ৪৫ জন (শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১২৪ জন (২ দশমিক ২৫ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ৩০৬ জন (৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের ৬৯৮ জন (১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ৪৭৭ জন (২৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ), ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২ হাজার ৮২৪ জন (৫১ দশমিক ৩৫ শতাংশ)।
এদিকে শনিবার (১০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পরীক্ষাগারে ১০ হাজার ৬৭৩টি নমুনা সংগ্রহ হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৮৫৯টি। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ২০৩ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৭৭ হাজার ৭৩ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬১ হাজার ৫২৮টি।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৫৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯১ হাজার ৩৬৫ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এমইউ/এমএসএইচ