সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন : ফ্লাইট অপারেটরকে তিন লাখ টাকা জরিমানা
করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া ১৫০ যাত্রী নিয়ে লিবিয়া থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করায় বুরাক এয়ারের ফ্লাইট অপারেটরকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে লিবিয়া থেকে ১৫৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় অবতরণ করে বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট।
ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্কের কর্মীরা মাত্র তিনজন যাত্রীর সঙ্গে কোভিড সনদ পান। বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার সুযোগ দেন। বাকি ১৫০ জনের সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো সনদ ছিল না। ফলে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এ কারণে বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিমানবন্দরে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল জাগো নিউজকে জানান, বুরাক এয়ারের এ ফ্লাইটটি পরিচালনার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের দেয়া শর্তেই সব যাত্রীকে কোভিড টেস্ট রিপোর্টসহ আসার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ফ্লাইট অপারেটর দাবি করেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়াতে আরটি-পিসিআর টেস্ট করার মতো সুবিধা নেই।
পরিপত্রে এ ধরনের দেশের ক্ষেত্রে সিভিল এভিয়েশন অথরিটির নীতিতে ছাড় রয়েছে। শুধুমাত্র এমন ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর টেস্টের পরিবর্তে এন্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়। অথচ ওই ফ্লাইটেরই তিনজন যাত্রী বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে উপযুক্ত সনদ দেখিয়ে বাড়ি গেছেন। তাহলে বাকি ১৫০ জন যাত্রী কেন কোভিড সনদ আনতে পারলেন না, এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করিয়ে বিমানে ওঠানোর যে শর্ত বাংলাদেশ দিয়েছিল তা মানার ইচ্ছা যেন কারোরই ছিল না। তারা হয়ত ধারণা করেছিলেন, কোভিড সংক্রান্ত নিয়ম নীতি মানার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে যে কড়াকড়ি আছে বাংলাদেশে তা নেই।’
জানা গেছে, কোভিড সনদ সংক্রান্ত নিয়ম না মানায় এ পর্যন্ত ১৫টি এয়ারলাইন্সকে বিভিন্ন মাত্রার সাজা দেয়া হয়েছে। যারা অব্যাহতি পেয়েছে তাদেরকেও সদর দফতরে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র এনে জরিমানা এড়াতে হয়েছে।
এমইউ/এসএস/জেআইএম