নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে ঘরে ফিরলেন ১১৯ যুক্তরাজ্য প্রবাসী
কোয়ারেন্টাইন থেকে ঘরে ফিরেছেন ১১৯ যুক্তরাজ্য প্রবাসী। দেশে ফেরার পর তারা সরকারি নির্দেশনায় দুই সপ্তাহের জন্য কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারের নতুন নিয়মে তারা চারদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জানা গেছে, এই ১১৯ জন ১ জানুয়ারির পর বিভিন্ন সময় দেশে ফেরেন। সে সময় তারা করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে এসেছিলেন। এরপরেও সরকারি নির্দেশনায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের আশকোনা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তারা নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত আবাসিক হোটেলে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে যান। কিন্তু ১৬ আগস্ট থেকে সরকারি নতুন নিয়মে যুক্তরাজ্য ফেরত প্রবাসীদের ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহের বদলে চারদিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ হলে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এ সিদ্ধান্তের পর ১ জানুয়ারির পর বিভিন্ন সময়ে যারা ফিরেছেন তারাও নমুনা পরীক্ষার দাবি জানান। সরকার এতে সম্মতি দিলে নিজ খরচে সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন বেসরকারি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে যুক্তরাজ্য ফেরত ১২৪ জন নমুনা পরীক্ষা করান। তাদের মধ্যে পাঁচজন ছাড়া বাকি ১১৯ জনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। পরে নেগেটিভ ফল আসাদের হোটেল থেকে বাসায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়। ইতোমধ্যে সবাই হোটেল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আর যাদের করোনা পজিটিভ এসেছে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিমানবন্দর কর্মকর্তা (সহকারী পরিচালক) ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় ১২৪ জনের মধ্যে ১১৯ জনের নেগেটিভ ও পাঁচজনের পজিটিভ আসে। যাদের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে তারা বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে বেসরকারি ছাড়াও কয়েকজন সরকারিভাবে নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়জনের রিপোর্ট এসেছে সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য তার কাছে নেই।
ডা. সাজ্জাদ আরও বলেন, তারা বাড়ি ফিরে গেলেও দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হতে যে কয়দিন বাকি আছে সে কয়দিন তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসন থেকে নজরদারি করা হবে।
এমইউ/এমআরআর/জেআইএম