করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমে আপ্যায়ন ব্যয় ৮৯ কোটি টাকা
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে আপ্যায়ন ব্যয় হিসেবে ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে প্রচার ও বিজ্ঞাপন খাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিজস্ব বাজেট থেকে ব্যয়ের অনুরোধ করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য বিভাগের সচিবকে পাঠানো অর্থ বিভাগের (বাজেট অনুবিভাগ-১) যুগ্ম সচিব ড. মোহাস্মদ আবু ইউসুফ সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বিষয়টি জানিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধক ভ্যাকসিন প্রয়োগ সংশ্লিষ্ট ‘আপ্যায়ন ব্যয়’ বাবদ ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা চলতি ((২০২০-২১) অর্থবছরের অর্থ বিভাগের বাজেটে ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা তহবিল’ থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুকূলে আপ্যায়ন ব্যয় কোডে বরাদ্দ প্রদানে সম্মতি দেয়া হলো।
এর আগে আপ্যায়ন ব্যয়ের জন্য ৮৯ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয়ের জন্য ১৪ কোটি ১৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। জবাবে প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিজস্ব বাজেট থেকে ব্যয় করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।
আপ্যায়ন ব্যয় খাতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে কিছু শর্তের কথা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, আপ্যায়ন ব্যয় খাতে বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি প্রযোজ্য আর্থিক বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে, অব্যয়িত অর্থ যথাযথভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে, অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট-২০০৬ এবং দ্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস-২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে পালন করতে হবে এবং এ অর্থ চলতি (২০২০-২১) অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে সংশ্লিষ্ট কোডে সমন্বয় করতে হবে।
ভ্যাকসিন কিনতে প্রস্তাবিত খরচের প্রথম ধাপে ৭৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় ধাপে ৭১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি এ টিকার ভারতীয় উৎপাদক সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত বছরের ৫ নভেম্বর চুক্তি করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশকে অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে সিরাম ইনস্টিটিউট। ভ্যাকসিনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করে।
আইএইচআর/এসএস/জিকেএস