১৫ দিনের ব্যবধানে করোনায় মৃত্যু-শনাক্ত বেড়েছে তিনগুণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ দিনে মৃত্যু ও নতুন রোগী শনাক্ত তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ মার্চ পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। ১৫ দিনের ব্যবধানে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের।
অপরদিকে মাসের শুরুতে ২ মার্চ করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছিল ৫১৫ জন। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। ১৫ দিনের ব্যবধানে নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭৩ জনে। নমুনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি (মাস্ক পরিধান করা, ঘন ঘন হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা) হলেও তা মেনে চলার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে উদাসীনতার কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে।
দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে সারাদেশের সব হাসপাতালকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে দেশের সব স্থানে যাতে মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয় সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা যান ১৬৩ জন। ১ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত যথাক্রমে মৃতের সংখ্যা ছিল- আটজন, সাতজন, পাঁচজন, সাতজন, ছয়জন, ১০ জন, ১১ জন, ১৪ জন, ১৩ জন, সাতজন, ছয়জন, ১৩ জন, ১২ জন, ১৮ জন ও ২৬ জন।
নতুন রোগীর সংখ্যা ও নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ছিল যথাক্রমে ৫৮৫ জন (৪ শতাংশ), ৫১৫ জন (৩ শতাংশ), ৬১৪ জন (৪ শতাংশ), ৬৩৫ জন (৫ শতাংশ), ৬১৯ জন (৪ শতাংশ), ৬০৬ জন (৪ শতাংশ), ৮৪৫ জন (৫ শতাংশ), ৯১২ জন (৫ শতাংশ), ১ হাজার ১৮ জন (৬ শতাংশ), ১ হাজার ৫১ জন (৬ শতাংশ), ১ হাজার ৬৬ জন (৭ শতাংশ), এক হাজার ১৪ জন (৬ শতাংশ), ১ হাজার ১৫৯ জন (৭ শতাংশ) এবং ১ হাজার ৭৭৩ জন (৯ শতাংশ)।
এমইউ/এআরএ/জিকেএস