কেবল সিট ফাঁকা রেখেই স্বাস্থ্যবিধির দায় সারছে গণপরিবহন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২১

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে রাজধানীজুড়ে গণপরিবহন ও যাত্রী দুই ছিল কম। সরকার ঘোষিত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপের চতুর্থ দিনে করোনা নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে সরকারি নির্দেশনা মানার আগ্রহ ছিল না।

বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, চিটাগাং রোড ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় বাস কম। শুধুমাত্র আসনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মানা হলেও অন্য কোনো নির্দেশনা মানার আগ্রহ নেই চালক, হেলপারদের।

যাত্রী কম থাকায় প্রায় সব বাসেরই অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা ছিল। তবে স্যানিটাইজার দিয়ে যাত্রীর হাত পরিষ্কার করা, ট্রিপের আগে পরে বাস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা, পরিবহন-শ্রমিক ও যাত্রীদের সবার মাস্ক পরিধান করা, গ্লাভস নিশ্চিত করার বিধিনিষেধ তেমনভাবে চোখে পড়েনি।

বিহঙ্গ পরিবহনের হেলপার সামাদের মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাস্ক পরে যাত্রী ডাকা যায় না। তবে পকেটে সবসময়ই মাস্ক থাকে বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে হেলপার-চালকরা বলছেন, এই গরমে মাস্ক পরে থাকা সম্ভব না। অন্য নির্দেশনা সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অবগত না।

jagonews24

লাব্বাইক পরিবহনের চালক রাজু জানান, বাস নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়। যাত্রীরাই হাত স্যানিটাইজ করতে চায় না।

মিরপুর থেকে করোনা টেস্ট করিয়ে কাওরান বাজার ফিরছিলেন প্রবাসী-শ্রমিক আবদুল্লাহ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মিরপুর থেকে কাওরান বাজার ভাড়া ১৫ টাকা। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ২৫ টাকা। আবার দাঁড় করিয়ে যাত্রী নিচ্ছে।

এদিকে ঢাকার শনির আখড়ায় গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীগামী একাধিক গণপরিবহনে বাস ভর্তি করে যাত্রী নিতে দেখা গেছে।

পুরো বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল। যাত্রীরা বলছেন, শর্ত অনুযায়ী ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ায় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যানবাহন চলাচল করার কথা। কিন্তু বর্ধিত ভাড়া আদায় করা হলেও পরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত এক বছরে আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা এক বছরে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারিনি। স্টার্টিং পয়েন্টে বাস স্যানিটাইজ করা বা পরিবহন-শ্রমিকদের মাস্ক পরানো এটা আমরা আসলে নিশ্চিত করতে পারিনি। আবার যখন লকডাউন হয়, তখন এটা নিয়ে ভাববার বিষয় ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা ভাড়া নেয় বা হেলপার তাদের পক্ষে ভাড়া নেয়া, যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করা- এত কিছু আসলে সম্ভব না। এসব দায়িত্ব যদি তৃতীয় কোনো পক্ষকে দেয়া হয়, তাহলে তারা এটা ভালোভাবে করতে পারে। বিনিময়ে তারা যাত্রীদের দেয়া অতিরিক্ত ভাড়া থেকে তাদের প্রাপ্যটা নিতে পারে। এক্ষেত্রে বাস মালিকরা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজটা করাতে পারে।’

এসএম/এআরএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।