দুই কোটি মানুষের ঢাকায় আইসিইউ খালি মাত্র ১৩টি
রাজধানীতে করোনা ডেডিকেটেভ হিসেবে ঘোষিত ১০টি সরকারি হাসপাতালের নয়টিতে আইসিইউ রয়েছে। এগুলোতে সর্বমোট বেড রয়েছে ১৩২টি। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীদের কারও কারও আইসিইউতে চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু আইসিইউ প্রয়োজন হওয়া রোগীর তুলনায় বেড সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় মুমূর্ষু রোগীদেরও আইসিইউতে ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩২টি আইসিইউ বেডের মধ্যে ১২৬টিতে এবং বেসরকারি পর্যায়ে ১৭৩টি বেডের মধ্যে ১৬৬টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। অর্থাৎ দুই কোটি জনসংখ্যার রাজধানী ঢাকায় এ মুহুর্তে মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে মাত্র ১৩টি বেড ফাঁকা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি ১০টি হাসপাতালের যে নয়টিতে আইসিইউ রয়েছে তার মধ্যে সাতটি হাসপাতালেই এ মুহূর্তে একটিও আইসিইউ ফাঁকা নেই।
হাসপাতালগুলো হলো উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিট, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল।
শুধুমাত্র সোহরাওয়ার্দী ও বিএসএমএমইউতে ছয়টি আইসিইউ খালি রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ১০টি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মধ্যে শুধুমাত্র মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ছাড়া অন্য নয়টি হাসপাতালে মোট ১৩২টি শয্যা রয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতেও প্রায় একইরকম অবস্থা। করোনা ডেডিকেটেড হিসেবে ঘোষিত নয়টি বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট আইসিইউ সংখ্যা ১৭৩টি। আজ (বৃহস্পতিবার) রোগী ভর্তি রয়েছে ১৬৬টিতে। পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালে একটি আইসিইউ বেডও খালি নেই। অবশিষ্ট চারটিতে মাত্র সাতটি ফাঁকা রয়েছে।
ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ণ হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, এ এম জেড হাসপাতাল, এবং বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউতে সবগুলো বেডেই রোগী ভর্তি রয়েছে।
শুধুমাত্র আসগর আলী হাসপাতালের ১৮টির মধ্যে ১৭টিতে, স্কয়ার হাসপাতালের ১৯টির ১৬টিতে, ইউনাইটেড হাসপাতালের ১৫টির ১১টিতে এবং এভারকেয়ার হাসপাতালের ২১টির ২০টিতে রোগী ভর্তি রয়েছে।
এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস