১২ ও ১৩ এপ্রিল নিয়ে ধোঁয়াশা, সিদ্ধান্ত জানা যাবে রোববার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২১
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান এক সপ্তাহের বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে রোববার (১১ এপ্রিল)। নতুন করে কঠোর লকডাউন আসছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে। তাই মাঝখানের দু-দিন (১২ ও ১৩ এপ্রিল) কীভাবে চলবে, কোনো বিধিনিষেধ থাকবে কি-না সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এখন যেভাবে চলছে, ১২ ও ১৩ এপ্রিলও (সোম ও মঙ্গলবার) সার্বিক কার্যক্রমে মোটামুটি এভাবেই বিধিনিষেধ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘কালকের (রোববার) মধ্যে এ বিষয়ে একটা বার্তা আসছে। যেহেতু ১৪ তারিখ যে ঘরে থাকার ব্যবস্থাটা আসছে, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন। এখন যে অবস্থাটা আছে এর চেয়ে তো বেশি ওপেন হওয়ার কথা নয়। এই অবস্থায় চলমান থাকার কথা। আমি এটা আমার ধারণা থেকে বলছি। কী সিদ্ধান্ত হয় সেটা কাল দেখা যাবে।’

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, লকডাউন নিয়ে আগামীকাল একটা ভার্চুয়াল সভা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ ব্যক্তিরা যুক্ত থাকবেন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের লকডাউন বা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়।

বিধিনিষেধের সময়ে পালনের জন্য ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে।

বিধিনিষেধ শুরু হলে গণপরিবহন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন খোলা থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মীরা। গণপরিবহন না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। একই সঙ্গে দোকান ও মার্কেট খুলে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন মালিক-শ্রমিকরা।

এরই মধ্যে গত ৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চালু করে দেয়া হয়। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল করছে বাস। তবে শপিংমল ও দোকান মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলন চলছিল।

শেষে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) থেকে আগামী ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে বলে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর মধ্যে শুক্রবার (৯ এপ্রিল) সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে করোনাভাইরাস ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। কিন্তু এতেও কমেনি জনগণের উদাসীনতা। এ অবস্থায় জনস্বার্থে সরকার আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

পরে শুক্রবার দুপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে।

তিনি আরও জানান, এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্পকারখানাও।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজধানীসহ সারাদেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময়ে পাঁচ হাজার ৩৪৩ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আরএমএম/এআরএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।