চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর সঙ্গে সব ধরনের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষাও স্থগিত রয়েছে। করোনা সংক্রমণের হার কমলে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হবে দীর্ঘ সেশনজট।
এমন পরিস্থিতিতে ‘করোনাকালীন প্রণোদনা’ হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানিয়েছেন ‘চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ চাই’ আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাসলিমা লিমা। তিনি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন ৩২ করা উচিত, তার পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।
তাসলিমা লিমা বলেন, বিশ্ব আজ অদৃশ্য এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে মহাযুদ্ধে পতিত হয়েছে। তাই আর্থ-সামাজিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু প্রণোদনা বঞ্চিত সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা। দেশে বেকারত্বের হার কমাতে চাকরিতে প্রবেশ ৩২ বছর পড়তে হবে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে শুধু৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর বাইরে চাকরির বড় কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। দেশের সবগুলো ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে।
তাসলিমা লিমা আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও সহকারী বিচারকদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২, আবার বিসিএস স্বাস্থ্য তথ্য সরকারি চিকিৎসকের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। অন্যদিকে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এই বয়সেও ৩২ বছর পরিলক্ষিত হয়। বিভাগীয় প্রার্থীরা ৩৫ বছর পর্যন্ত সুযোগ প্রাপ্ত হন। তাই করোনার বিভীষিকাময় সময়ে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা কিন্তু তাদের ৩০ বছর পাচ্ছে না। করোনার কারণে ইতোমধ্যে সবার জীবনের প্রায় দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনায় শিক্ষার্থীদের প্রায় দুই বছর সময় জীবন থেকে নষ্ট হতে চলেছে। তাই করোনাকালীন সরকারের সকল প্রকার প্রণোদনার পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।
এমএমএ/এমএসএইচ