দেশে একদিনে মৃত্যুর ২৫ ভাগই খুলনায়
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর শীর্ষে রয়েছে খুলনা বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মারা যাওয়া ১০৮ জনের মধ্যে ২৭ জন খুলনার। অর্থাৎ সারাদেশে মোট মৃত্যুর ২৫ ভাগই খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর বাসিন্দা।
এদিন, দেশের আট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে সর্বমোট ২৭ হাজার ৬৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৮৬৯ জন।
নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে আট বিভাগের মধ্যে খুলনা বিভাগে নমুনা পরীক্ষার হিসেবে শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশের বেশি।
শুক্রবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী- গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় সর্বমোট দুই হাজার ৬২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৩২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষার হিসাবে শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় নমুনা পরীক্ষার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৬ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়।
খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে বাগেরহাটে ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা ৭৩ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষা ১১৬ জন, যশোরে ৬০১টি নমুনা পরীক্ষা ৩৭০ জন, ঝিনাহদহে ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা ১৭৯ জন, খুলনায় ৭৩০টি নমুনা পরীক্ষা ৩৩২ জন, কুষ্টিয়ায় ২৬৪টি নমুনা পরীক্ষা ১১১ জন, মাগুরায় ২৭টি নমুনা পরীক্ষা ১০ জন, মেহেরপুরে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষা ৪৫ জন, নড়াইলে ১০১টি নমুনা পরীক্ষা ৩৮ জন এবং সাতক্ষীরায় ১৫৮টি নমুনা পরীক্ষা ৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়।
দেশের অন্য ৭টি বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ হাজার ৩২১টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ১৯৬ জন (শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ), ময়মনসিংহ বিভাগে ৯৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৬৫ জন (শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ), চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৭০৩ জন (শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ)।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৪ হাজার ৩৯২টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৭১ জন (শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ৮০৫টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৩৬ জন (শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৭৩ শতাংশ), বরিশাল বিভাগে ৫২৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১২১ জন (শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং সিলেট বিভাগে ৬২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫৫ জন (শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ) রোগী শনাক্ত হয়।
একই সময়ে আট বিভাগে সর্বমোট ১০৮ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২৭ জনের মৃত্যু হয়। অন্যান্য বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, রাজশাহীতে ১৬ জন, সিলেট বিভাগে তিনজন, রংপুর বিভাগে ১০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা বিভাগে মৃত ২৭ জনের মধ্যে বাগেরহাটে একজন, চুয়াডাঙ্গায় একজন, যশোরে ছয়জন, ঝিনাইদহ দুইজন, খুলনায় পাঁচজন, কুষ্টিয়ায় ১০ জন, মেহেরপুরে একজন এবং সাতক্ষীরায় একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/এএএইচ/জেআইএম