‘বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ এলে মাস্ক পরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪৫ এএম, ০১ জুলাই ২০২১

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে কাঁচাবাজার উন্মুক্ত জায়গায় পরিচালনাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। কিন্তু রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজারের অধিকাংশ দোকান উন্মুক্ত জায়গায় বসেনি। দোকানিরাও মাস্ক পরেননি।

ব্যবসায়ীদের দাবি, লকডাউনের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। তাই উন্মুক্ত জায়গায় কাঁচাবাজার বসেনি এবং অনেক দোকানি মাস্ক পরেনি। তবে কাঁচাবাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই মাস্ক পরতে সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, হরেক রকম সবজি, মাছ, ফলমূলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। কিন্তু বাজারে ক্রেতা কম। এতে দোকানিরা একপ্রকার অলস সময় পার করছেন। তাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। এছাড়া লকডাউনে উন্মুক্ত জায়গায় কাঁচাবাজার বসার নির্দেশনা থাকলেও কোনো দোকানি তা মানেননি। সবাই নিজ নিজ বরাদ্দের জায়গাই ব্যবসা করছেন। এর মধ্যে কারওয়ান বাজার আড়তের মধ্যে তারা ব্যবসা করছেন। তবে যারা নিয়মিত কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে বা রাস্তায় দোকান বসান, আজও তারাই সেখানে বসেছেন।

jagonews24

কারওয়ান বাজারের সবজি দোকানি ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, সকাল থেকে বাইরে বৃষ্টি। তাই উন্মুক্ত জায়গায় মালামাল নিয়ে বসা যায়নি। এছাড়া কারওয়ান বাজারের সব রাস্তায় কাদায়ভরা। তাই অন্য দোকানিরাও রাস্তায় দোকান বসাননি।

মাস্ক না পরে ক্রেতাকে মুদি মালামাল দিচ্ছিলেন কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের দোকানি জাহাঙ্গীর আলম। মাস্কের বিষয়ে তিনি বলেন, মাস্ক পরে কাজ করা যায় না। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।

jagonews24

কারওয়ান বাজার এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন। এই অঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তারা কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সকাল থেকে অভিযান শুরু করেছেন। কারওয়ান বাজারেও যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

হাতিরপুল কাঁচাবাজার

হাতিরপুল কাঁচাবাজারে মাছ, মাংস, ফলমূল, সবজির শতাধিক দোকান রয়েছে। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই বাজারে ক্রেতা দেখা যায়নি। তবে যে কয়েকজন ক্রেতা দেখা গেছে, তাদের প্রায় সবার মুখে মাস্ক দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানির মুখে মাস্ক ছিল না।

jagonews24

মাংস দোকানি আরিফ বলেন, অন্যান্য দিন সকাল ১০টার মধ্যে দুইশ থেকে আড়াইশো কেজি মাংস বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু আজ বাজারে ক্রেতা কম। বেচাবিক্রি নেই।

মাস্ক থুঁতনিতে রেখে পান খাচ্ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, মাস্ক পরলে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং নিশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। তাই থুঁতনিতে মাস্ক রাখছি। তবে বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ আসলে মাস্ক পরি।

এমএমএ/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।