সকাল থেকে অপেক্ষা, টিসিবির ট্রাকের দেখা নেই
করোনা সংক্রমণের সময় ভোক্তাদের কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে আবারও ট্রাক সেল চালু করছে টিসিবি। আজ (৫ জুলাই) থেকে এ ট্রাক সেল শুরু হয়েছে সারাদেশে। তবে বিক্রি শুরুর প্রথম দিনে রাজধানীতে দুপুর পর্যন্ত টিসিবির ট্রাকের দেখা মেলেনি অধিকাংশ জায়গায়।
ফলে যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি হয় সেখানে দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকেই দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
খামারবাড়িতে টিসিবির পণ্যের জন্য অপেক্ষারত আছিয়া বেগম বলেন, সকাল থেকে সব কাজ ফেলে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো খবর নেই। ট্রাক আসবে কি-না সেটাও জানা যাচ্ছে না। না এলে পুরো দিন মাটি।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর প্রেস ক্লাব খামারবাড়ি ফার্মগেট ও এফডিসির মোড় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী বাড্ডার মতো দু'একটা এলাকায় ট্রাক পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছে ডিলাররা।
কয়েকজন ডিলার মুঠোফোনে জানিয়েছেন, টিসিবির গোডাউন থেকে সময়মত পণ্য সরবরাহ না পাওয়ার কারণে তারা ঠিক সময় স্পটে পৌঁছাতে পারেননি।
এ দফায় দেশজুড়ে টিসিবির ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে। এসব ট্রাকে কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা দরে চিনি ও ডাল এবং লিটারপ্রতি ১০০ টাকা দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাওয়া যাবে সকল পণ্য।
বর্তমানে টিসিবির প্রতিটি ট্রাকে ৫০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে। একজন ব্যক্তি দৈনিক দুই থেকে চার কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই থেকে পাঁচ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন।
এনএইচ/এআরএ/জেআইএম