‘প্রত্যেকদিন কাঁচাবাজারে যাওয়ার দরকার নাই’
পণ্য নিয়ে মিরপুর ১ নম্বরের মার্কেটে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। মুখে ছিল না মাস্ক। কেন মাস্ক পরেননি, সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্বরত র্যা ব সদস্যদের প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সব সময়ই হাতে থাকে মাস্ক। আজকে ভুলে পরা হয়নি।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেন ওই ব্যক্তিকে। মাস্ক না পরা ও লকডাউনে অযৌক্তিক কারণে ঘর থেকে বের হওয়ায় মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ১২ জনকে জরিমানা করা হয় মিরপুর ১ নাম্বারের দারুস সালাম রোড এলাকায়।
এদিন বেলা ১১টার পর মিরপুরের দারুস সালাম রোডের ডেল্টা হাসপাতালের সামনে র্যা ব-৪-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যা ব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।
গাড়ি ও রিকশা থামিয়ে বেশ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বেশ কয়েকজনকেই। জিজ্ঞাসাবাদে অনেকেই বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেননি। কেউ আবার মাস্ক থুতনির নিচে কিংবা পকেটে রেখেই ঘুরছিলেন। এ সময় অনেককেই মাস্ক বিতরণ করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় সড়কে গাড়ি ও মানুষের চাপ বাড়ছে। তবে লকডাউন প্রতিপালনে কঠোর অবস্থানে আছে র্যা ব। আইন অমান্য করলে জরিমানাও করা হচ্ছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নানা কারণে সড়কে গাড়ির চাপ বেড়েছে। এর বাইরে নানা অজুহাতে মানুষ বের হচ্ছে। ১ জুলাই থেকে যখন কঠোর লকডাউন শুরু হলো তখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে ছিল। সোমবার থেকে যখন ব্যাংক খুলল, এর সঙ্গে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান জড়িত। সেগুলোও খুলে গেছে। এ কারণে সড়কে মানুষও বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যত দিন যাচ্ছে অজুহাতের পরিমাণ বাড়ছে। সড়কে মানুষও বাড়ছে। এটা লকডাউন শুধু না, করোনা পরিস্থিতির অবনতির জন্য মারাত্মক সহায়ক।’
এক্ষেত্রে জনসচেতনতার বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মনে করেন যারা কাঁচাবাজারে যাবে প্রত্যেকদিন তো বাজারে যাওয়ার দরকার নাই। প্রত্যেকদিন মানুষ কাঁচাবাজারে যাচ্ছে। এই বাজারে কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না। করোনা ঠেকাতে মাস্ক পরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলা হলেও আমরা দেখছি অনেকেই মাস্ক পরছে না। যারা অযথা বাইরে বের হচ্ছে, মাস্ক পরছে না তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করছি। শাস্তি বড় বিষয় না, জনসচেতনতা জরুরি। এটা যদি না বাড়ে, আমরা যদি অযথা বাইরে বের হই, মাস্ক না পরি, তাহলে এই সংক্রমণ কমানো যাবে না।’
এসএম/এসএস/জিকেএস