রূপগঞ্জে আগুন : মুরসালিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের (সেজান জুসের) কারখানার আগুনে নিহত মুরসালিন ইসলামের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (১০ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে স্বজনদের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ইফতিয়ার উদ্দিন। এ সময় দাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।
মুরসালিন ইসলামের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সুকদেবপুরে। তিনি ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় থাকতেন। তার মরদেহ দিনাজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহতের মামা জুয়েল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আগুনের ঘটনায় তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হন মুরসালিন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল নেয়া হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত ১১টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি জানান, ওই কারখানার তিন তলায় ব্লু মারলিন বোতল মেশিনারিজ অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন মুরসালিন। ৭ হাজার টাকা বেতনে চার বছর ধরে সেখানে কাজ করতেন।
গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাসেম ফুডস লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ঘটনার প্রথম দিন তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৮টি ইউনিট ২০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর গত ৯ জুলাই সকালে ওই ভবনের চারতলা থেকে ২৬ নারীসহ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জনে।
জেডএইচ/এমকেএইচ