মার্কেটে ক্রেতা নেই, মন ভালো নেই বিক্রেতাদের
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের বেঁধে দেয়া ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শেষে খুলেছে দোকান-শপিংমল। আশানুরূপ ক্রেতা না থাকায় অলস সময় পার করছেন মার্কেটের বিক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, দোকান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দেরি করেই অনেকে খুলেছেন দোকান। আবার অনেকেই মাত্র এক সপ্তাহের জন্য খুলতে না চাওয়ায় বন্ধ রয়েছে অনেক দোকান।
দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ছিল ঢিলেঢালা ভাব। যেসব দোকানে ক্রেতা ছিল সেখানে ছিল না সামাজিক দূরত্ব। আবার ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক।
মিরপুর-১০ নম্বরের শাহআলী মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে খুব বেশি ক্রেতা নেই।
বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণ দিনের তুলনায়ও ক্রেতা অনেক কম। ঈদের পর লকডাউন হওয়ায় অনেক মানুষ গ্রামে চলে যাচ্ছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন মানুষ ঘরে বসে থাকায় অনেকেরই হাতে টাকা নেই। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের বাজার জমবে না।
আল-মদিনা নামে একটি দোকানের সেলসম্যান মোহাম্মদ রাজন বলেন, ‘এই কদিন দোকান খুলে আসলে লস। কোরবানির ঈদে বেচাকেনা কম আবার ঈদের পর লকডাউন তাই মানুষ খরচ করতে চাইবে না। এ কারণে মার্কেটে ক্রেতা নেই।’
বস্ত্র বিতানের রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের পর আবার লকডাউন। প্রচুর মানুষ ঢাকা ছাড়বে। আজ থেকেই ছাড়া শুরু করেছে। এছাড়া লকডাউনে অনেকে বাড়ি চলে গেছে। এমনিতেই কোরবানির ঈদে কেনাকাটা কম হয়। এবার তো বেচাকেনা টুকটাক হবে, সেটাই আশা করি।’
মিরপুর-২ নম্বরে মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সে মোহাম্মদ হাসেম এসেছেন পরিবার নিয়ে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘ঈদের কেনাকাটা নয়, ঘরের কেনাকাটা করতেই মার্কেটে এসেছি। সামান্য কেনাকাটা করে চলে যাচ্ছি।’
এদিকে মার্কেটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দায়সারা ভাব দেখা যায়। শাহআলী মার্কেটের দুই প্রবেশ পথে সিকিউরিটি গার্ডকে হাতে সাবান মিশ্রিত পানি নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা দেখা যায়নি কোনো মার্কেটে।
এসএম/এমআরআর/জিকেএস