শনাক্তের হার ১৮ শতাংশের নিচে
![শনাক্তের হার ১৮ শতাংশের নিচে](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/test2-20210818195539.jpg)
দেশে করোনা শনাক্তের হার ১৮ শতাংশের নিচে নেমেছে। করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪১ হাজার ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ২৪৮ জনের দেহে। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৯১ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৮২৮টি।
বুধবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ৩৯ হাজার ২৭৮টি নমুনা পরীক্ষার তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার ৭১৯ জনে।
একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও সাত হাজার ২৪৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১১২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৭২ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব দুজন, বিশোর্ধ্ব চারজন, ত্রিশোর্ধ্ব সাতজন, চল্লিশোর্ধ্ব ২০ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৪ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬২ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৩০ জন, আশি-ঊর্ধ্ব ১০ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী তিনজন মারা যান।
বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৭ জন, রাজশাহীতে আটজন, খুলনায় ১৬ জন, বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে ১৫ জন, রংপুরে চারজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ সাপেক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে লকডাউন দেয়। ১০ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকে। লকডাউন চলাকালে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, মার্কেট ও শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানা ও সব প্রকার গণপরিবহন বন্ধ থাকে।
পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে (১৭ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই) গণপরিবহন চালু হয়। সীমিত সংখ্যক ট্রেন, লঞ্চ ও উড়োজাহাজও চলাচল করে। অব্যাহতভাবে মাসাধিকাল লকডাউনের ফলে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু আগের তুলনায় কমেছে। করোনা সংক্রমণ ৩১ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে তা হ্রাস পেয়ে ১৭ শতাংশে নেমেছে। আগের তুলনায় মৃত্যুও কমেছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/বিএ/এএসএম