সিঙ্গাপুর-কলম্বোর বিকল্প মোংলা-চট্টগ্রাম বন্দর চায় ভারত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২১ জুলাই ২০২২

সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের বিকল্প হিসেবে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা যায় কী না বাংলাদেশকে সেটি বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের পর নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ভারতের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনাপত্তি পেলেই মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেবে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দু-দেশের মধ্যে শিপিং সেক্টরের অনেক বিষয় রয়েছে। করোনা ও অন্যান্য কারণে কিছু জিনিস স্লো (ধীর গতি) হয়ে গেছে। সেগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় বিভিন্ন নৌরুট ড্রেজিং, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার, ভারতের বিশাখাপত্নম ও কৃষ্ণাপত্নম বন্দর ব্যবহার এবং খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান খালিদ মাহমুদ।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনিবলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পায়ের নিচের মাটি অনেক শক্ত। সারা বিশ্ব সেটি দেখছে। যারা নীতি ও আদর্শহীন, তাদেরই পায়ের নিচে মাটি নেই। বাংলাদেশের মাটি অনেক শক্ত, যা ১৯৭১ সনে প্রমাণিত হয়েছে। বিরোধীরা দিবাস্বপ্ন দেখছে। তাদের স্বপ্ন ভাঙাতে পারবো না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এটা তাদের কাছে বেদনা ও কষ্টের হতে পারে।

‘বাংলাদেশ ছোট ভূখন্ডের বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশ। করোনা মহামারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা ভালো আছি। আমাদের চেয়ে অন্য কোন দেশ ভালো আছে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে আমরা কাজ করছি। যতটুকু দরকার, ততটুকু ব্যবহার করা হচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থায় প্রায় ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে।’

আরএমএম/এমপি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।