ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৫:৪২ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

যুবাদের সবচেয়ে বড় আসর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার সাজঘরে ফিরলে বড় ধরনের ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে সেই ধাক্কাটা সামলে ওঠার চেষ্টা করেছিলেন জয়রাজ শেখ। প্রথমে নাজমুল হোসাইন শান্ত এবং পরে জাকির হাসানকে সঙ্গে নিয়ে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ২২তম ওভারে এসে বোল্ড আউটের শিকার হন জয়রাজ। এরপর জাকির হাসান বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভার শেষে যুবাদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১১৪ রান।

এর আগে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওপেনার পিনাক ঘোষের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই তিনি ফিরে যান সাজঘরে। এরপর সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই পিনাককে অনুসরণ করেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। ১৬ বল খেলে ব্যক্তিগত ১০ রান করে দলীয় ২৭ রানের সময় আউট হয়ে যান তিনি।

এমন অবস্থায় দলকে কিছুটা এগিয়ে যান জয়রাজ শেখ এবং নাজমুল হোসাইন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৩১ রানের জুটি। তবে ১৩তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫৮ রানে হেটমায়েরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শান্ত। ২৪ বল খেলে তিনি করেন ১১ রান। ২২তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে স্প্রিংগারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন জয়রাজ। এরপর হোল্ডারের বলে বোল্ড হন জাকির (২৪)।

এদিকে বছরের শুরু থেকেই সাফল্যের হাতছানি। ইতিহাস সৃষ্টি করে নতুন ইতিহাসের সন্ধানে মেহেদী হাসান মিরাজরা। প্রথমবারের মত যে কোন পর্যায়ের যে কোন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। এবার স্বপ্নটা আরও অনেক বড়। সেমির গণ্ডি ছাড়িয়ে দষ্টি সীমায় এখন শুধুই ফাইনাল। তাতে তৈরী হবে আরেক ইতিহাস। স্বপ্ন পুরনের আরেকটি ধাপ।

সেই স্বপ্ন আর ইতহাসের সামনে মিরাজদের বড় বাধা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেমিফাইনালে ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে পারলেই স্বপ্নের ফাইনালে উঠে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলবে বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা। এই তো মাত্র ক`দিন আগেই ক্যরিবীয় যুবাদের বলে কয়ে হারিয়েছে মিরাজরা। করেছে হোয়াইটওয়াশ। যার তরতাজা স্মৃতি সঙ্গী করে সেমির লড়াইয়ে মাঠে নামবে মিরাজরা।

কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম আনপ্রেডিক্টেবল দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইতিহাসও তাদের অনেক সমৃদ্ধ। যুবাদের সেরা এই আসরে এর আগে চার বার সেমিফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাদের। এমনকি ২০০৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে ফাইনালও খেলেছিল তারা। তাই মাঠে যখন-তখন যে কোন কিছু করে ফেলায় তাদের জুড়ি মেলা ভার। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ম্যানক্যাডিং করে পায় লজ্জাজনক জয়। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে আনপ্রেডিক্টেবল নামের সার্থকতা ধরে রাখে তারা।

বাংলাদেশ একাদশ:
সাইফ হাসান, পিনাক ঘোষ, জয়রাজ শেখ, নাজমুল হোসাইন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকির হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, সাঈদ সরকার, মেহেদি হাসান রানা, সালেহ আহমেদ শাওন ও আরিফুল ইসলাম।

এমআর/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।