ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে উরস শরীফ শুরু


প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে চারদিন ব্যাপী উরস শরীফ শুরু হয়েছে। শনিবার সকালে ফজর নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে এ উরস শুরু হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দলে দলে আশেকান ও ভক্তবৃন্দ সদরপুরের আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সমাবেত হচ্ছেন। উরসে কয়েক লাখ মানুষ সমবেত হয়ে ওয়াকতিও নামাজ, ওয়াজ, দফায় দফায় জিকির আসকার কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ইবাদত বন্দেগী করবেন।

Faridpur-Top
শান্তি ও ঐক্যের বারতা ছড়িয়ে বিশ্বওলী হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী ( কু:ছে:আ:) ছাহেবের মহাপবিত্র চার দিনের বিশ্ব উরস শরীফের মহামিলনমেলায় পর্যায়ক্রমিকভাবে কোটিরও অধিক মানুষ সমবেত হবেন বলে দরবার সূত্রে জানা গেছে।

আগামী মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্বওলী কেবলাজান ছাহেবের পবিত্র রওজা শরীফ জিয়ারত ও আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

Faridpur-Top
৪ দিনের এ মহামিলনমেলায় এবার ২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে উরস শরীফের সকল প্রস্তুতি হয়েছে।
 
দরবার শরীফের মূল ভেন্যুর ২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এবাদত বন্দেগী, আহার, বিশ্রাম, চিকিৎসা সেবা, গাড়ি পার্কিং, অগ্নি নির্বাপন, নিরাপত্তা ও যোগাযোগ সুবিধাসহ সার্বিক আয়োজনে ৫৮টি ডিপার্টমেন্ট একযোগে কাজ করবে।
এবাদত, বন্দেগী ও বিশ্রামের জন্য বিশাল বিশাল অসংখ্য প্যান্ডেল, প্রবেশ পথগুলোতে সুদৃশ্য তোরণ, অন্দর মহলে পর্দার আড়ালে ১০ লাখ মহিলার এবাদত বন্দেগী, আহার ও বিশ্রামের বন্দোবস্ত, বিদেশি মেহমানদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা।

Faridpur-Top
বরাবরের ন্যায় অন্য ধর্মাবলম্বী ৫ লাখ মানুষের জন্য পৃথক পৃথক বিশাল কম্পাউন্ড যথারীতি নির্মাণ করা হয়েছে।
 
এদিকে, ভাত, গোশত ও ডাল রান্না করার পৃথক পৃথক বিশাল বিশাল পাকশালা নির্মাণ করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বিশাল বিশাল খাবার মাঠ। ৩ লাখ মুসল্লি এক সঙ্গে খাবার মাঠগুলোতে বসে খাবার খেতে পারবেন। অন্য দিকে, ভক্ত আশেকানরা ওজু ও পয়ঃপ্রণালির জন্য পর্যাপ্ত পানি, ৪ হাজার টয়লেট এবং স্থানীয়দের উদ্যোগে আরো ৬ হাজার টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।

Faridpur-Top
নিরাপত্তায় ৫ শতাধিক সিসি টিভি ক্যামেরা, ৩৬টি আর্চওয়ে গেট, ৫ শতাধিক হ্যান্ড হেল্ড ম্যাটাল ডিটেক্টর, ও সমসংখ্যক ওয়াকিটকি, ৬১টি অবজারবেশন পোস্ট, ২ হাজার সার্চ লাইট এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া অগ্নি নির্বাপনে দমকল ইউনিট মোতায়েন রাখা হয়েছে।

৩২টি সুবিশাল কার পার্কিং, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কয়েক হাজার কর্মী প্রবেশ সড়কগুলোতে দায়িত্ব পালন করবেন। হরিণাঘাট, কাওরাকান্দি, বলাশিয়া, চন্দ্রপাড়াসহ ৫টি নৌবন্দরে নৌপথে আগত মানুষের জন্য স্থাপিত ক্যাম্পসমূহে এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, মাওয়া-কাওরাকান্দি ফেরিঘাটে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হেলিকপ্টার ওঠা নামার জন্য হেলিপ্যাডও রাখা হয়েছে।

Faridpur-Top
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ৫০০ কিলোওয়াটের ১০টি জেনারেটর স্ট্যান্ডবাই রয়েছে। ২ সহস্রাধিক লাউড স্পিকার ও সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে চলবে এবাদত বন্দেগী, ওয়াজ নসিহতের কাজ।

এস.এম. তরুন/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।