বিক্রিতে রেকর্ড : জমজমাট ছিল বইমেলা


প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

অমর একুশে বইমেলায় ফাল্গুন এসে যেন বদলে দিয়েছে প্রকাশকদের ভাগ্য। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রেকর্ড সংখ্যক বই বিক্রি করেছেন তারা। পাশাপাশি পহেলা ফাল্গুনের কারণে উৎসবেও কোনো কমতি ছিল না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট ছিল বইমেলা।

এদিকে প্রতিদিন দুপুর ২টায় দর্শণার্থীদের জন্য বইমেলা উন্মুক্ত করা হলেও শনিবার বেলা ১১টা থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। দিনটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব শ্রেণি ও পেশার মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ দিনের চেয়ে তুলণামূলক বেশি দর্শণার্থী ও বইপ্রেমীদের উপস্থিতি ছিল বাংলা একাডেমির বইমেলায়। বিক্রিও হয়েছে বিগত দিনের চেয়ে অনেক বেশি। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রকাশকরা।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর প্রকাশক আরিফুর রহমান নঈম জানান, বসন্তের আগমন বার্তায় ফাগুন উৎসবের কারণে মেলায় গত দিনগুলোর চেয়ে আজ উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। বিক্রিও হয়েছে বেশ।

তাম্রলিপি প্রকাশনির এ কে এম তরিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রেকর্ড পরিমান বই শনিবার বিক্রি করেছেন তারা। রোববার ভালোবাসা দিবসে আরো বেশি বই বিক্রি করার আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।


এদিকে ফাগুনের আগুনে সকাল থেকে ভিন্নরূপ ধারণ করে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গন ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বইমেলার পরিবেশ। দিনভর পুরো বইমেলা যেন হলুদ পোশাকের আবরণে হলুদিয়াতে রূপ নেয়। সন্ধ্যার পরও মেলায় আগতদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলায় ফাগুনের উৎসব শেষে হাজার হাজার বিনোদনপ্রেমীদের স্রোত লাগে বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায়। পাশাপাশি জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা শেষেও বইমেলায় অংশ নেন হাজারো বইপ্রেমী।

সবমিলিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিন্নধর্মী একটি দিন অতিক্রম করেছে বইমেলা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস তথা রোববারও সমানতালে বইমেলায় লোকসমাগম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।

এমএম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।