বাংলাদেশে বিরাজনীতিকীকরণের চেষ্টায় কুচক্রীমহল


প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
ফাইল ছবি

একটি কুচক্রিমহল বেশ কিছুদিন ধরে, বিশেষ করে এক-এগারোর সময় থেকে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকীকরণের চেষ্টা করে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে কারা সেই কুচক্রীমহল তা স্পষ্ট করেননি মির্জা ফখরুল।

রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।

সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে প্রকাশিত কিছু সংবাদের জন্য সম্প্রতি নিজের ভুল স্বীকারের পর ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ফখরুল বলেন, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর আক্রমণ হয়েছে। কালকে আরেকজনের ওপরে হবে। ডেইলি স্টার সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এটাই ফ্যাসিবাদের নিয়ম। একটার পর একটা আক্রমণ হচ্ছে, কেউ ছাড়া পাবে না।

১/১১ স্টাইলে বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে আপনাকে (ফখরুল) ইঙ্গিত করে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হচ্ছে। ব্যাপারটিকে কীভাবে দেখছেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি কুচক্রীমহলের বিরাজনীতিকীকরণের চেষ্টার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, রাজনীতির যে চর্চা ও রাজনৈতিক দলগুলো যেন এখানে টোটালি ফাংশন (কাজ) করতে না পারে, সে চেষ্টা করা। আরেকটা চেষ্টা আছে, সত্যিকারের যারা রাজনৈতিক নেতা তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম কথা-বার্তা বলে রাজনীতিকে আরো কলুষিত করার চেষ্টা করা।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, বিএনপির ব্যাপারে এ চেষ্টাটা আরো বেশি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কীভাবে দূরত্ব সৃষ্টি করা যায়, তার জন্য কিছু কিছু কল্পকাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। কল্পকাহিনী তৈরি করে সেটা আবার প্রচারও করা হচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরে পত্রিকার কাটতির জন্য আপনারা (গণমাধ্যম) এগুলো (সংবাদ) বড় বড় করে ছাপেন।

কিছু সংবাদের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা টোটালি আনইথিক্যাল (অনৈতিক)। যারা এটা লিখছেন, তারাই বা কেন লিখছেন? যাদের বিরুদ্ধ লেখা হচ্ছে তাদের সঙ্গে কথা না বলে, তাদের মতামত না নিয়ে এটা করা হচ্ছে। এটা আমি বুঝি না। এটা কোন ধরনের সাংবাদিকতা সে সম্পর্কেও আমার ধারণা নেই। এ ধরনের নিউজ করে কাকে সহায়তা করা হচ্ছে? সহায়তা করা হচ্ছে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধের শক্তিকে। একটি দলের অভ্যন্তরীণ সো-কলড (তথাকথিত) সমস্যাগুলো নিয়ে, যেটির কোনো ভিত্তিই নেই, এ রকম প্রতিবেদন করা হচ্ছে, যেটা খুবই দুঃখজনক।

দেশে গণতন্ত্রের সঙ্কট আছে, এমন অভিযোগ করে গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকার বিষয়ে ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেকেরই নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব রয়েছে। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে মিডিয়ার, যেটা সর্বজনস্বীকৃত। এক্ষেত্রে সেই মিডিয়া ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। আমরা এটাও প্রত্যাশা করি যে, গণতন্ত্রকে যারা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, দেশে যারা সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ আনতে চায়, যারা সুষ্ঠু রাজনীতি করতে চায়, রাজনীতিকে সামনে আনতে চায়, তাদের ব্যাপারে ও সেই রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপারে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা দরকার।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ফখরুলের সঙ্গে আরো ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম।

এমএম/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।