বৃহস্পতিবার ‘নো কার ডে’ পালনের উদ্যোগ


প্রকাশিত: ০৯:২৫ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সপ্তাহের অন্তত একটা দিন নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িগুলো খুব জরুরি না হলে বের না করার উদ্যোগ নিয়েছেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরাফাত নোমান। এ উদ্যোগে তার সঙ্গে আছেন একদল তরুণ-তরুণী। সবার সহযোগিতা পেলে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার ‘নো কার ডে’ (No Car Day) পালন করার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার ‘নো কার ডে’ পালনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ক্যাম্পেইনও শুরু করেছেন তরুণ-তরুণীরা। দেশের সব বড় বড় কর্পোরেট অফিসে গিয়ে তাদের প্রধান কর্তাকে অনুরোধ করছেন, যেন তিনি তার অফিসের কর্মচারীদের ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত গাড়ি আনতে নিষেধ করেন।

আরাফাত নোমান জাগো নিউজকে বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের উদ্যোগ সফল হলে প্রতিমাসে একটা ‘নো কার ডে’ এবং পরবর্তীতে প্রতি সপ্তাহে একটা ‘নো কার ডে’ পালনের পরিকল্পনা আছে আমাদের। এই ক্যাম্পেইন আপাতত ঢাকা থেকে শুরু হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে চালু হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ফেসবুক ইভেন্টে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার মানুষ যুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ হাজার মানুষ ‘নো কার ডে’ পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আপনিও যুক্ত হতে পারেন এ ক্যাম্পেইনে। আপনার বন্ধু তালিকায় থাকা অন্তত দু’জন গাড়িওয়ালা মানুষকেও যদি রাজি করাতে পারেন তাহলে ১৮ ফেব্রুয়ারি গাড়ি বের না করার জন্য তাহলে অন্তত ৬০০০ গাড়ি ওইদিন রাস্তায় নামবে না। হ্যাশ ট্যাগ হিসেবে লিখতে পারেন  #18th_February_bar_on_my_car এই স্লোগানটি।

উল্লেখ্য, এই উদ্যোগ সফল হলে জ্বালানি সাশ্রয় থেকে শুরু করে ঢাকাবাসীর প্রধান কষ্টের কারণ যানজট অন্তত একদিন হলেও অনেকখানি কমে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা মানুষের চিন্তাধারা পাল্টাবে। মানুষ বুঝতে পারবে তার একদিনের ত্যাগ কতটা সুন্দরভাবে একটা নগরীর পরিবর্তনে সহায়তা করেছে। বাংলাদেশে এ ধরণের উদ্যোগ প্রথম হলেও ২০০৭ সালে চীনে প্রথম শুরু হয় ‘নো কার ডে’ (No Car Day) পালনের উদ্যোগ। পরবর্তীতে ইউরোপের অনেক দেশেই এটা শুরু হয়।

এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।