খুলনা আ.লীগে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব : পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশিত: ১১:৪১ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে খুলনা আ.লীগে নতুন করে আবারো দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপ এখন মুখোমুখী অবস্থান করছে। প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রস্তুতের আগেই একাধিক তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো এবং ওই তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়। যার রেশ ধরে দুটি গ্রুপই ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে অন্য গ্রুপের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।

গত নভেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে চলেছে। কমিটির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে তদন্তও চলছে। এরই মধ্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন করে দ্বন্দ্ব।

সূত্রানুযায়ী, খুলনায় ৬৭টি ইউনিয়নে মনোনয়ন দেয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং যে ইউনিয়নে নির্বাচন হবে সেই ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সমন্বয়ে নির্বাচনী বোর্ড গঠন করার পর সেই কমিটির সুপারিশ করার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী বোর্ড কর্তৃক তা অনুমোদন করবে।

তবে প্রথম দফায় খুলনার তিন উপজেলার রূপসা-তেরখাদা ও দিঘলিয়ার ১৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুসারী গ্রুপটি দাবি করেছে যে, মনোনয়ন দেবার ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম করা হয়েছে। অযোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। যা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না মেনেই করা হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগঠনতান্ত্রিকভাবে অনেক ওয়ার্ড কমিটি ও কয়েকটি ইউনিয়ন কমিটিও অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
 
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী গ্রুপটি ৬৭টি ইউনিয়নের জন্য একশত জন প্রার্থীর তালিকা গত সপ্তাহে পাঠিয়েছে। যা প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টার কাছে দেয়া হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ায় এখনো কোনো মনোনয়ন হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

তিনি বলেন, কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তার বাইরে কোনো কাজ হবে না।

বুধবার দুপুরে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ এই অংশ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে অর্থ বাণিজ্য করাসহ নানাবিধ অভিযোগ এনেছে। তারা খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবার দাবি জানান।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারী মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। দলের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ৬৭ ইউনিয়নে মনোনয়ন জমা দেবেন বলে জানা গেছে।

আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।