ভোর থেকেই অপেক্ষা, প্রথমবার মেট্রোরেলে চড়তে যেন তর সইছে না

ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি আর অপেক্ষা শেষে চালু হলো স্বপ্নের মেট্রোরেল। বুধবার প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেও সাধারণ জনগণের জন্য তা চালু হয় বৃহস্পতিবার। মেট্রোরেল চালুর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার উত্তরার দিয়াবাড়ী স্টেশনে সকাল থেকেই মানুষের ভিড় জমেছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে মেট্রোরেলের টিকিট সংগ্রহ করছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী সকাল আটটায় দিয়াবাড়ী স্টেশন ছাড়ে দিনের প্রথম ট্রেন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ছুটির দিন থাকায় শীতের এই সকালে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা বের হননি। তবে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে ভ্রমণের জন্য শীতকে উপেক্ষা করেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দিয়াবাড়ী স্টেশনে এসেছেন হাজারো মানুষ।
অটোরিকশায় ৪০ টাকা ভাড়া দিয়ে এবং বেশ কিছুটা পথ হেঁটে দিয়াবাড়ী স্টেশনে এসেছেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলম। প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে চড়ার উদ্দেশ্যেই তিনি এসেছেন স্টেশনে। জাগো নিউজকে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়েছি। অনেকটা পথ হেঁটে আর বাকিটা অটোরিকশায় এসেছি। আসার সময় ৪০ টাকা অটো ভাড়া দিলাম। যাওয়ার সময়ও একইভাবে যেতে হবে। এখান থেকে আগারগাঁও যাবো, এরপর কিছুক্ষণ ঘুরে আবার চলে আসবো।
উত্তরা কামারপাড়া স্কুলের শীক্ষার্থী মো. ইমরান হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় দিয়াবাড়ী স্টেশনে। প্রথমবার মেট্রোরেলে ওঠার জন্য যেন তার তর সইছিল না। জাগো নিউজকে ইমরান জানায়, গতকাল এসেছিলাম। অনেক মানুষের ভিড় থাকায় স্টেশনে ঢুকতে পারিনি। আজকে তাই সকাল-সকাল চলে এলাম।
দিয়াবাড়ীর স্থানীয় বাসিন্দা প্রমিলা সরকার। সপরিবারে মেট্রোরেল ভ্রমণের জন্য এসেছেন। জাগো নিউজকে প্রমিলা সরকার বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে আমরা ৭ জন, কোলের শিশুসহ ৮ জন এসেছি। দেশে প্রথমবার মেট্রোরেল চালু হলো, এটা দেখতে না আসি কীভাবে! সবাই খুব উৎসাহ অনুভব করছি। বাসার ছোটরাতো মেট্রোরেলে চড়তে সকাল থেকেই তৈরি হয়ে আছে। গতকালই আসার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু অতিরিক্ত ভিড় থাকায় আসিনি।
এএএম/কেএসআর/এমএস