ঢাকায় আরও ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
রাজধানীতে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় এসেছে বাস। প্রথম দিকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাসে চালু করা হয় ই-টিকিটিং। এবার মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে চলাচলরত ১৫টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় এসেছে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে। ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।
যে ১৫ কোম্পানির বাসে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে
মেসার্স ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ, স্বাধীন লাইন পরিবহন, দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, মালঞ্চ পরিবহন লিমিটেড, তরঙ্গ প্লাস ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, আলিফ এন্টারপ্রাইজ (১) (রুট-এ-১৪১), আলিফ এন্টারপ্রাইজ (২) (রুট-এ-২৯২), অভিনন্দন ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড, বিকাশ পরিবহন লিমিটেড, গাবতলী এক্সপ্রেস লিমিটেড, মেঘলা ট্রান্সপোর্ট কোং লিমিটেড, ভিআইপি অটো মোবাইলস লিমিটেড, রমজান আলী এন্টারপ্রাইজ, মিডলাইন পরিবহন লিমিটেড এবং স্বপ্ন পরিবহন লিমিটেড।
আরও পড়ুন: ই-টিকিটিংয়ে যাত্রীদের স্বস্তি, কমছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়
সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্যাহ জানান, বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি কাজ করছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় মোট ২১টি সার্কুলার দিয়েছি। ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে রাস্তায় মাসের পর মাস ডিউটি করিয়েছি এবং আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। বিশেষ করে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমরা বিগত দিনে সমাধান করতে পারিনি। দীর্ঘ সময় পর গেটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস এগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। তারপরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল।
পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ই-টিকিটিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

আরও পড়ুন: ই-টিকিটিংয়ের ফাঁদে যাত্রীরা, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
তিনি বলেন, দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এজন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।

ই-টিকিটিং চালু হলে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর যে অসম প্রতিযোগিতা সেগুলো বন্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য আরও অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ই-টিকিটিং চালুর পর বাস কমিয়ে দিয়েছেন মালিকরা
ই-টিকিট চালু হলে গাড়ির সংখ্যা কমে যায়, এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সঠিক। শুরুর দিকে যখন আমরা ই-টিকিট দেওয়া শুরু করেছি তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেতো না। ফলে মালিকরা গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সাধারণ মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকিটিং মেশিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরও বলেন, ই-টিকিটিং সফল হলে আরও আধুনিক ব্যবস্থা করবো ভবিষ্যতে।
এমওএস/জেডএইচ/জিকেএস