‘মানিলন্ডারিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে পারছে না সরকার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ০৯ জানুয়ারি ২০২৩

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেছেন, সরকার অন্যান্য ক্ষেত্রে সাহসিকতা দেখালেও মানিলন্ডরিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে পারছে না। এ বিষয়ে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ফখরুল ইমাম এসব কথা বলেন।

ফখরুল ইমাম বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্রান্তিলগ্ন পার করছে। বাংলাদেশের টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ডিসেম্বরের দুই সপ্তাহে চট্টগ্রামের তিনটি কোম্পানিকে তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণছাড় দেওয়া হয়েছে। পাঁচটি ইসলামিক ব্যাংককে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ সুদে ১৪ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ইসলামিক ব্যাংক সুদে ঋণ নেয় না। তাদের নীতি আদর্শে সুদ নামক কোনো বস্তু নেই।

তিনি বলেন, গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাপিয়েছে। এই টাকা সিস্টেম থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে বেরিয়ে গেছে।

টাকা পাচারের বিষয়ে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাপার এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছি বিশেষ বিশেষ সময় সাহসিকতা দেখিয়েছেন। উনার শক্তির সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা আছে। দেখেছি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যেসব দেশ হস্তক্ষেপ করেছে তার বিরুদ্ধে উনি কথা বলেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। এটা আমাদের ভালো লাগে। পাশাপাশি যখন দেখি এ রকম একটি শক্তিশালী সরকারের প্রধান মানিলন্ডরিংয়ের ব্যাপারে কিছুই করতে পারেন না তখন নিজেকে অসহায় মনে হয়।

তিনি বলেন, হিসাব বলে এ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডরিং হয়েছে। বাংলাদেশের দুই বছরের বাজেটের সমপরিমাণ টাকা মানিলন্ডারিং হয়েছে। কাজেই আশা করবো সরকার এ ব্যাপারে কঠিন হবে। এই হিসাবে সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

জাতীয় পার্টির আরেক সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, আর্থিক খাতের অনিয়মে কোনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যায়। আর সামান্য ঋণের জন্য কৃষকদের কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে জেলখানায় নেওয়া হয়। এটা সরকারকে ভাবতে হবে।

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নূরুল হক নুর দুবাই গিয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাদাফির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নুরুর সঙ্গে মেন্দির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি দৈনিক পত্রিকায়ও খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই এ বিষয়টি তদন্ত করে জাতীয় সংসদে ৩০০ বিধিতে বিবৃতি দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।

এইচএস/বিএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।