মগবাজারে স্কুলের সামনে বিস্ফোরণ, রমনা থানায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৬ এএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২৩
ফাইল ছবি

রাজধানীর মগবাজারের ওয়ারলেস গেট এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মঙ্গলবার রাতে রমনা মডেল থানায় মামলাটি করে। এতে কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গতরাতে (মঙ্গলবার) অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে মামলাটি হয়। আমরা কাজ করছি। আশা করি এর সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বড় মগবাজারের ওয়ারলেস মোড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। ছয়তলা ভবনের নিচে যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে দুটি স্কুল আছে। এরমধ্যে একটি সেন্ট ম্যারিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অন্যটি রমনা কিডস কিন্ডারগার্টেন স্কুল। পাশেই মেট্রো ডিপার্টমেন্ট স্টোর। স্কুলের নিচে রয়েছে একটি ওষুধের দোকান।

>> মগবাজারে ড্রাম বিস্ফোরণ, ৪ পথচারী আহত

সেখানে থাকা একটি ড্রাম থেকে বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। বিস্ফোরণের কম্পনে স্কুলের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে এবং তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। এতে একজন প্রকৌশলীসহ কয়েকজন আহত হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গতকাল সরেজমিনের দেখা যায়, ছয়তলা ভবনটি বেশ পুরোনো। এক পাশে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একটি স্কুল রয়েছে। নিচতলায় ফার্মেসি ও সুপারসপ। ভবনের অন্য পাশে আরেকটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। বাকি ফ্লোরগুলো মেয়েদের হোস্টেল। বিস্ফোরণের পরই স্কুলগুলো এবং ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা সেখানে কাজ শুরু করে। ডিএমপির সিটিটিসির বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট ও সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে।

এদিন ঘটনাস্থলে এসে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিস্ফোরিত প্লাস্টিক ড্রামে আগে থেকে ‘বিস্ফোরক দ্রব্য’ রাখা ছিল। অসাবধানতাবশত তা ফেলে দেওয়ার কারণে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরক দ্রব্য কে বা কারা রেখেছিল কিংবা কীভাবে এখানে এলো তা উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।

ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ড্রামে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে অসংখ্য স্প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়েছে।

টিটি/এমকেআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।