সীমান্তে মাদকপাচার বন্ধে বিজিবি মহাপরিচালকের হুঁশিয়ারি

সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদক প্রবেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নবনিযুক্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে দেশে মাদক প্রবেশ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেছেন, দেশে মাদক প্রবেশ বন্ধে, শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে যা করণীয়, তা অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: থমথমে তুমব্রু সীমান্ত: আতঙ্কে ঘরবন্দি মানুষ
বিজিবি সবসময়ই জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের উপর দিয়ে দায়িত্ব পালন করে জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে কখন কী হবে আসলে এটা বলা যায় না। কিন্তু মিয়ানমার সীমান্তে বান্দরবান এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা চলছে। আমাদের বাহিনীর যে সদস্যরা আছেন তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, দেশের অখণ্ডতা রক্ষা করতে বিজিবির উপর যে বিশাল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা সব সময় নিষ্ঠার সঙ্গে বিজিবি পালন করে আসছে, ভবিষ্যতেও পালন করা হবে। সীমান্তের পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যথাসময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে এটাকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পূরক সীমান্ত প্রটোকল সই
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যে বাহিনী, তাদের মধ্যে অনেক দিন ধরেই গোলাগুলি চলছে। তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ভুক্তভোগী হচ্ছি আমরা। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নবনিযুক্ত বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, যে পরিস্থিতি রয়েছে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে এবং সুন্দরভাবে ট্যাকেল করতে আমরা সক্ষম।
অরক্ষিত সীমান্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজিবির মূল দায়িত্ব দেশের সীমান্ত রক্ষা করা। সীমান্তে অরক্ষিত জায়গা যদি থেকে থাকে, দুর্বল দিক চিহ্নিত করে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত মাদক দেশে প্রবেশ করছে। মাদক আসা বন্ধে বিজিবির নতুন মহাপরিচালক হিসেবে ভূমিকা কী থাকবে? জানতে চাইলে মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ‘জিরো টলারেন্স’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমরা সবাই এ বিষয়ে একমত। বাইরে থেকে মাদক এসে দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে নষ্ট করে দেবে, এটি আমরা কখনোই চায় না।
টিটি/এমএইচআর/জেআইএম