ঘরবন্দী হয়ে দিন কাটছে ওদের

গত ৩ দিন হলো ঘরবন্দী হয়ে দিন কাটছে ওদের। বাইরে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ বাইরে থেকে তালা ঝুলছে। খাবারও দেয়া হচ্ছে বাইরে থেকে জানালা দিয়ে।
পাগলাকানাই এলাকার মোস্তান আলী জানান, ভেতরে তিন শিশু রিয়াজ (৭), হৃদয় (৫) আর কাজল লতা (৪)। দুই মায়ের একজন নুরুন্নাহার বেগম। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আর বাবা শহীদুল ইসলাম ও আরেক মা রহিমা খাতুন জেলে রয়েছে প্রথম স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগমকে পাশবিক নির্যাতন করার কারণে।
বড় ভাই রিয়াজ জানায়, তারা কখনো খেলা করছে, কখনো মা-বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। এভাবেই দিন পার হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা খাতুনের সঙ্গে বসবাস করছিল শহীদুল ইসলাম। সে বাড়িতে এক সপ্তাহ আগে দুই সন্তান রিয়াজ ও হৃদয়কে নিয়ে আসে শহীদুলের প্রথম স্ত্রী নুরুন্নাহার। এতে ক্ষিপ্ত হন শহীদুল ও রহিমা। তারা ওই বাড়িতে আটকে রেখে নুরুন্নাহারের ওপর নির্যাতন করতে থাকেন। বুধবার রাতে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার শুনে লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে নুরুন্নাহারকে উদ্ধার করে। কিন্তু পুলিশ আসার আগে পালিয়ে যান শহীদুল ও রহিমা।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর এলাকা থেকে আটক করা হয় রহিমা খাতুন ও শহীদুল ইসলামকে। আর শিশুদের স্থানীয় যে ব্যক্তির জিম্মায় রেখে আসা হয়েছে মুঠোফোনে তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
এসএস/এমএস