বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন আ.লীগের মাঠ কাঁপানো নেতা


প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংগঠক এক সময়ের মাঠ কাঁপানো নেতা শ্যামল সেন এথোরোস্কেলেরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ পরামর্শ দিয়েছেন দ্রুত ভার্টিক্যাল সার্জারির মাধ্যমে তার দেহে কৃত্রিম রক্ত নালী সংযোজন করা প্রয়োজন। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের কারণে চিকিৎসার স্বপ্ন ভেঙে গেছে তার পরিবারের। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুণছেন এই ত্যাগী নেতা।

জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার সেনপাড়া গ্রামের শ্যামল সেন আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির সহচর্যে এসে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছিলেন। পরবর্তীতে কুড়িগ্রামের ধরলা উত্তরের তিন উপজেলা নাগেশ্বরী, ভুরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন।

১৯৭০-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত নাগেশ্বরী থানা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক, ১৯৭৩-১৯৯৫ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৬ সালের ঢাকা অবরোধের সময় বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস রংপুর কারাগারে বন্দি থাকেন। ১৯৯৫ সালে জেলা কমিটির সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হন। বর্তমানে তিনি নাগেশ্বরী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য।

বর্তমানে এথোরোস্কেলেরোসিস রোগ বাসা বেধেছে তার শরীরে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল বন্ধ থাকায় তার দুই পায়ের পাতায় পঁচন ধরেছে। দ্রুত ভার্টিক্যাল সার্জারি করে তার দেহে কৃত্রিম রক্তনালী সংযোজন না করলে ধীরে ধীরে তার পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে ভোগ করতে হবে অসহ্য যন্ত্রণা। তাকে সুস্থ করতে দ্রুত ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় পরিবারের সহায় সম্বল বিক্রি করে নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানে অর্থাভাবে চিকিৎসা চালাতে পারছেনা। তার চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে পরিবারটি।

নাজমুল হোসেন/ এমএএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।