স্বাধীন দেশ উপযোগী বিচার প্রশাসন গঠনের কাজ চলছে
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, স্বাধীন দেশ উপযোগী বিচার প্রশাসন গঠন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সোমবার জাতীয় সংসদে পঞ্চগড়-১ আসনের নাজমুল হক প্রধানের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
লিখিত উত্তরে মন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পূর্বে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে প্রযোজ্য সকল আইনকে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে জারিকৃত ল’স কন্টিনিউএনসি এনফোর্সমেন্ট অর্ডার (Laws continuance Enforcement order) দ্বারা একই তারিখে জারিকৃত প্রোক্লেমেশন অব ইন্ডিপেনডেনসের বিধান সাপেক্ষে অব্যাহত রাখা হয়।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪৯ অনুচ্ছেদ দ্বারা অব্যাহত থাকা ওই আইনগুলোকে হেফাজত করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পূর্বে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে প্রচলিত ব্রিটিশ ভারত ও পাকিস্তান আমলে প্রণীত অনেক আইন এখন পর্যন্ত বিদ্যমান রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রণীত বাংলাদেশ ল’স (রিভিশন অ্যান্ড ডিক্লেরাশন) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ প্রণয়নের মাধ্যমে স্বাধীনতাপূর্ব আইনগুলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও অভিযোজনপূর্বক বহাল রাখা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনসমূহ এ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক এখতিয়ারাধীন। কোন মন্ত্রণালয় হতে তার কোন আইনকে যুগোপযোগী ও বাস্তবমুখীকরণের জন্য সুনির্দিষ্ট আকারে প্রস্তাব প্রেরণ করা হলে এ মন্ত্রণালয় হতে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, তবে মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের প্রশাসনিক এখতিয়ারাধীন একটি স্বাধীন আইন কমিশন আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী বা নতুন আইন প্রণয়ণের জন্য সুপারিশ করতে পারে। আইন কমিশন আইন সম্পর্কে গবেষণাপূর্বক সুপারিশ প্রদান করে থাকে। সেই সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন আইন আধুনিকায়ন, বাস্তবমুখী করার জন্য সংশোধন ও প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।
এইচএস/এসএইচএস/এবিএস