মানবতাবিরোধী অপরাধ

দিনমজুর-শিক্ষক পরিচয়ে আত্মগোপনে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলীকে (৭০) মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৩ সালে মামলা হওয়ার পর থেকেই কখনো আত্মীয়ের বাসায়, কখনো নির্জন চরে, কখনো বাসা ভাড়া নিয়ে, কখনো দিনমজুর, কখনো শিক্ষক হয়ে ছিলেন আত্মগোপনে। রাজধানীর ডেমরা এলাকার একটি বস্তি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলীর (৭০) বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৩ সালে আনিছুর রহমান বাদী হয়ে গাইবান্ধার নিম্ন আদালতে মামলা করেন। ২০১৪ সালে মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। মামলা রুজুর পর ২০১৩ সাল থেকেই তিনি নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।

আরও পড়ুন: গোপনে বিয়ে করায় চিকিৎসক প্রেমিকের বাসায় প্রেমিকার আত্মহত্যা

তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সুন্দরগঞ্জ থানায় আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। ২০১৬ সালে সেখান থেকে পালিয়ে গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর তীরে বেলকার চর নামক নির্জন চরে গিয়ে দিনমজুর হিসেবে আত্মগোপনে থাকেন। ২০২১ সালে ঢাকায় পালিয়ে আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। সেখানেও প্রথমে দিনমজুরি, পরে গৃহশিক্ষকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। গ্রেফতারের ভয়ে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ওই স্থান ছেড়ে রাজধানীর ডেমরা এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের অন্যতম সংগঠক এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানা জামায়াত ইসলামীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে ওই এলাকায় লুটপাট ও বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালাতেন।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মৃত্যুদণ্ড দেন আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলীসহ (৭০) ৫ আসামিকে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

আরএসএম/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।