অন্তর্বাস পরে চাকরির পরীক্ষা


প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ০১ মার্চ ২০১৬

সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলের কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের শরীরের জামা-প্যান্ট খুলে ফেলার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা প্রথমে এতে রাজি না হলেও শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়। শেষে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরেই পরীক্ষা দিলেন ১১০০ পরীক্ষার্থী।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের মুজাফ্ফরপুরে সেনাবাহিনীর একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। শিক্ষার্থীদের এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। গণমাধ্যমে এই ছবি দেখে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগের কাছে পুরো ঘটনার প্রতিবেদন চেয়েছে।

সম্প্রতি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কেরানি পদের জন্য বিহারে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর এক হাজার ১০০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এরপর তাদের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে বলা হয়। সেই পরীক্ষা দিতে এসেই এমন বিপত্তির মুখে পড়ে চাকরিপ্রার্থীরা।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এমন অদ্ভুত পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই সাফাই দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী বলছে, যে ভাবে বিহারে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন, তা রুখতেই এই ব্যবস্থা। জামা-প্যান্টের ভেতরে তো বটেই কখনও কখনও অন্তর্বাসের মধ্যেও টুকলি ও মোবাইল নিয়ে তারা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকে পড়েন। সেই কারচুপি ঠেকাতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই খালি গায়ে শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে পরীক্ষা দিতে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও অনুরোধেই কাজ হয়নি। সেনাবাহিনী জানায়, এ ভাবেই পরীক্ষা দিতে হবে। না হলে, পরীক্ষাকেন্দ্র ওই মাঠ থেকে তাদের বেরিয়ে যেতে হবে।

এর পরে তারা মাঠে বসে উরুর উপর খাতা রেখেই ঘণ্টাখানেক পরীক্ষা দেন। সেনার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিরেক্টর কর্নেল ভিএস গোধারা বলেন, পোশাকের মধ্যে টুকলি নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ এ রাজ্যে বহু বার উঠেছে। তাই প্রয়োজনীয় সব রকমের সতর্কতাই অবলম্বন করেছি আমরা।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।