বগুড়া আকবরিয়া হোটেলের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন


প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৬

বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের কারখানায় অনুমোদনের অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। অবৈধভাবে ১০টি অতিরিক্ত চুলার মাধ্যমে মাসের পর মাস গ্যাস চুরি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র ২০ দিন আগে এই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও সতর্কতার পরেও বন্ধ হয়নি এই অবৈধ তৎপরতা।

যার ফলে মঙ্গলবার সেখানে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির (পিজিসিএল)  কর্মকর্তারা।

এদিকে, বগুড়ার আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের কারখানায় অনুমোদনের অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়ার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির (পিজিসিএল) কর্মকর্তারা। হোটেলটি কিছু কর্মী মালিক না থাকার অজুহাতে তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। পরে পুলিশের চেষ্টাতে পিজিসিএল কর্মকর্তারা ভেতরে প্রবেশ করলেও প্রায় এক ঘণ্টা সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

পিজিসিএলের ব্যবস্থাপক শৈলজানন্দ বসাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তারা সাত সদস্য এই অভিযানে অংশ নেয়। কারখানাটিতে অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে কি পরিমাণ গ্যাস চুরি করা হয়েছে, তা নিরুপন করে পরে জরিমানা করা হবে। এখন শুধু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

অভিযানকালে পিজিসিএল অনুমোদনের অতিরিক্ত ৩৫০ সিএফএসর দুইটি তন্দুর (কনফেকশনারি পণ্য তৈরির চুল্লি), একটি গ্যাস ওভেন ও দুইটি চুলা জ্বালানোর প্রমাণ পায় পিজিসিএল।

পিজিসিএলের অপর এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস বিপণন আইন ২০১০-এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী অনুমোদনের অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহারের অপরাধে গ্রাহকের এক বছরের কারাদণ্ড অথবা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

তিনি আরো জানান, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেলের (গ্রাহক সংকেত নম্বর-০৫০৩০০০১০) অনুমোদিত লোড ঘণ্টায় তিন হাজার ৬০৩ ঘনফুট, মাসিক ৩৯ হাজার ১৩৭ ঘনমিটার ও চাপ ৬ পিএসআইজি। প্রতিষ্ঠানটির গ্যাস ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে ২৫ এসসিএফএইচের ১৯টি, ৪৫ এসসিএফএইচের ১০টি, ৭৫ এসসিএফএইচের একটি, ৭৫ এসসিএফএইচের গ্যাস ওভেন একটি এবং ৩৫০ এসসিএফএইচের তন্দুর দুইটি। কিন্তু তারা অনুমোদনহীন ও অবৈধ আরো ১০০ এসসিএফএইচের পাঁচটি, ৩৫০ এসসিএফএইচের দুইটি তন্দুর এবং ১০০ এসসিএফএইচের একটি গ্যাস ওভেনসহ কমপক্ষে ১০টি চুলার সংযোগের প্রমাণ পায়।

পিজিসিএলের বগুড়া বিক্রয় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক গোলাম মোরশেদ জানান, আকবরিয়া গ্রান্ড হোটেলের কারখানায় অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া ও জমিমানা করা হবে।

আকবরিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান আলী আলালের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আকবরিয়া গ্রুপের অন্য কোনো কর্মকর্তা ও এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হয়নি।

এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।