গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫


প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৬

গাজীপুরে দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৭টা ২০ মিনিটের দিকে জয়দেবপুর জংশনের দক্ষিণ পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মামুনুর রশিদ (১২)। তার বাবার নাম আবুল কাশেম, বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার লেপশিয়া গ্রামে। সে তার বাব-মার সঙ্গে গাজীপুর মহানগরীর পূর্ব চান্দনা এলাকার বারেক মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

জয়দেবপুর জংশনের স্টেশনের মাস্টার শহিদুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত সোয়া ৭টার দিকে জয়দেবপুর জংশনে যাত্রাবিরতি করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি কিছু দূর যাওয়ার পর হটাৎ ট্রেনের গতি কমে যায়। এসময় ঢাকাগামী তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনটি ঘুরানোর জন্য স্টেশনের তিন নম্বর লাইন থেকে ঘুরে দুই নম্বর লাইন দিয়ে দ্রুতযান এক্সপ্রেসটির পিছন পিছন যাচ্ছিল।

দ্রুতযান এক্সপ্রেসের গতি কমার ফলে তুরাগের ইঞ্জিনটি দ্রুতযানের পিছনে প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দেয়। এসময় দ্রুতযান এক্সপ্রেসের পিছনের বগির দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে দ্রুতযান এক্সপ্রেসের পিছনের বগি এবং তুরাগ ট্রেনের ইঞ্জিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তুরাগ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের হুকে বসে থাকা মামুনুর রশিদ নামে এক শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ট্রেনের ইঞ্জিনের প্রচণ্ড ধাক্কায় দ্রুতযান এক্সপ্রেসের ৫ যাত্রী আহত হয়। আহতরা হলেন রিয়েল (১৪), আতাউর রহামন (৩০), সজিব (১৩), আলী আজম (৫২) ও সুমন (২৫)। এদের মধ্যে সজিবকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড এবং রিয়েলকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

খবর পেয়ে রেলওয়ে বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিনের মাঝখানে থাকা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।

পরে দ্রুতযান এক্সপ্রেসের যাত্রীদের রাত পৌনে ৯টার দিকে দেওয়ানগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তিস্তা এক্সপ্রেসে উঠিয়ে দেয়া হয়। দুর্ঘটনার ফলে ট্রেন চলাচলের কোনো ব্যাঘাত হয়নি। রাতেই ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার কাজ শুরু করে।

আমিনুল/এমএএস/এবিএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।