শার্শায় আ.লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে এখন বইছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। এখানে ক্ষমতাসীন দলে আ.লীগেরই দুটি গ্রুপ থাকায় প্রার্থীরাও রয়েছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। ১১টি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আ.লীগ প্রার্থীরা অনেক এগিয়ে গেলেও বিএনপির প্রার্থীদের এখনও সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কোনো প্রার্থীরও নাম শোনা যাচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিশ্বাস দলীয় মনোনয়ন পেলে তারা ইউপি নির্বাচনে নিশ্চিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়নের সর্বত্র প্রধান আলোচ্যবিষয়, কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক। অন্যদিকে ১১ ইউনিয়নে ধানের শীষের বিএনপির প্রার্থীর আগ্রহীদের তালিকা কিছুটা কম। ধীরে ধীরে তারা মাঠ গোছাচ্ছেন। শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলেও প্রার্থীদের নাম পাওয়া যায়নি।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু জানান, ১১টি ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থী আছে। সম্ভবত চতুর্থ ধাপে আমাদের এখানে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে আমরা প্রার্থী আহ্বান করে আবেদন জেলায় পাঠাবো। তারপর জেলা কেন্দ্রে পাঠাবে। সেখান থেকে যার নাম আসবে সেই প্রার্থী হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শার্শার অডিটোরিয়ামে আ.লীগের বর্ধিত সভায় ১১ টি ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক প্রার্থী তাদের নাম জমা দিয়েছেন। এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। ওই সভায় দেশ ও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে দেশনেত্রী যাকে নৌকা মার্কা প্রতীক মনোনয়ন দেবেন তাকেই আগামী ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য নি:স্বার্থ ভাবে সকলকে কাজ করার আহবান জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে তারা বহিষ্কার হয়ে যাবে। দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী বাছাইয়ে কোনো স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেওয়া হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ বলে জানান তিনি।
শার্শার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেতে যারা আবদেন করেছেন বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় উঠে এসেছে অনেকের নাম।
তাদের মধ্যে ১ নং ডিহি ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বকুল, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান। ২ নং লক্ষণপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও ইউপি মেম্বার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন শান্তি। ৩ নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
৪ নং বেনাপোল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান সহিদ। ৫ নং পুটখালি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল গাফফার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। ৬ নং গোগা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক মোতাহার আলী। ৭ নং কায়বা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ আহম্মদ টিংকু, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলু ও আলতাফ হোসেন।
৮ নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ও শফিক ধাবক। ৯ নং উলাশী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আয়নাল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল আলম, ১০ নং শার্শা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আসিফ-উদ-দ্দৌলা সরদার অলোক ও সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহম্মদ তোতা। ১১ নং নিজামপুর ইউনিয়নে আ.লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, সেলিম রেজা বিপুল, বদিয়ার রহমান ও মহিনুর রহমান।
জামাল হোসেন/এফএ/এবিএস