জাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিকের জিডি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন জাতীয় পত্রিকার দুইজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
সংবাদ প্রকাশের জেরে হুমকি দেয়ায় নিরাপত্তা চেয়ে পৃথক দুটি ঘটনায় বুধবার বিকেলে আশুলিয়া থানায় আলাদা দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান থানার ডিউটি অফিসার ও উপ-পরিদর্শক মো. মোর্শেদ আলী মোল্লা। তাদের জিডি নং ১৩২০ ও ১৩২১।
থানার ডিউটি অফিসার ও উপ-পরিদর্শক মো. মোর্শেদ আলী মোল্লা বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক থানায় এসে পৃথক ঘটনায় দুটি আলাদা জিডি করেছেন। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতার জন্য এক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।”
অভিযোগকারী দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক মানবকণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. সাইফ উদ্দিন আবির এবং বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুর আলম হিমেল।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে মো. সাইফ উদ্দিন আবির বলেন, “গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক মানবকণ্ঠে ‘জাবিতে ছাত্রলীগের মিছিলে না যাওয়ায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর মানবেতর জীবন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ফোন করে প্রকাশিত সংবাদের প্রমাণ করার কথা বলেন এবং প্রমাণ না করতে পারলে ‘সহজে ছাড় দেব না’ বলে আমাকে হুমকি দেন।”
পারলে অন্যদিকে নুর আলম হিমেলের অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, “গত ১২ মার্চ শনিবার বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি ছাত্রলীগের বাস ভাঙচুর’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের জেরে রাজিব আহমেদ রাসেল ফোন করে ধমকের সুরে সংশ্লিষ্ট সংবাদের কৈফিয়ত জানতে চান। এ সময় তিনি নিউজের ঘটনার প্রমাণ না করতে পারলে ‘তোমার (হিমেলের) বিরুদ্ধে শুধু ব্যবস্থা নয়, আরো অনেক কিছুই করা হবে’ বলে হুমকি প্রদান করেন।”
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নুর আলম হিমেল বলেন, “তিনি আমার সঙ্গে অত্যন্ত ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেছেন। একজন ছাত্রলীগ নেতার এমন আচরণে আমি বিস্মিত।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন, ‘নিউজের তথ্যের বিভ্রান্তি ও তথ্য ভুলের জন্য আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন কেউ যদি এটাকে হুমকি হিসেবে নেই তাহলে এটা সিনিয়র হিসেবে আমার জন্য কষ্টের বিষয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, “আমি জিডির বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। এ বিষয়ে জেনে পরে জানাতে পারবো।”
হাফিজুর রহমান/বিএ