পায়রা বন্দরে মার্কিন বিনিয়োগ চাইলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২৩

পায়রা বন্দরের উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ চাইলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বিনিয়োগের আহ্বান জানান। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নৌখাত ও নৌমন্ত্রণালয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। কারণ এর আগে ইউএস ট্রেডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একটি দল ১৪ দিন আমেরিকা সফর করেছিলাম। তখন অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও মেরিটাইম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা কথা বলেছি।

তিনি বলেন, আমেরিকার বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসটিডিএ), এক্সিম ব্যাংক, তারা এখানে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর নিয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। বিশেষ করে, আমাদের যে ফায়ার ফাইটিংয়ের চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পায়রা বন্দর নিয়ে তাদের বলেছি যে এটি নতুন একটি বন্দর, এখানে অনেক ধরনের সুযোগ আছে। যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ করতে চাইলে সেটা তারা করতে পারবে। এ নিয়ে পায়রা বন্দরকে বলবো। পায়রাবন্দরের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হবে, কী কী ধরনের সুযোগ আছে, তা তারা জানতে চাইবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় যে বন্যা ও দুর্যোগ হয়, এসব বিষয়ে তারা সহযোগিতা করতে পারে, আমরাও আগ্রহ প্রকাশ করেছি।

‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর স্থাপনা নিরাপত্তা (আইএসপিএস) কোড আছে। আমেরিকার কোস্ট গার্ড এরই মধ্যে মোংলা সমুদ্রবন্দর পরিদর্শন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের ড্রেজার সংগ্রহ করছি, তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও যুক্ত আছে। তাদের কাছ থেকেও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

বন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অকল্পনীয়, তারা খুবই খুশি। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় তারা সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিনিয়োগের প্রস্তাবের জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন- জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, তারা খুবই আগ্রহী। বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিবেশ, আমেরিকা বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী আছে। যদি আমাদের কোনো প্রস্তাব থাকে, কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করা যাবে, সে বিষয়ে তিনি আমাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। কী ধরনের বিনিয়োগ তারা করতে পারেন, সে বিষয়ে জানতে আগ্রহী মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

আরও পড়ুন: পায়রা বন্দর নিয়ে যে দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলবাসী

মন্ত্রণালয়ের বাইরে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না, এমনিতেই পারিবারিক আলোচনা হয়েছে। আমার পরিবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক কোনো আলোচনা হয়নি।

বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। এসব নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগ, বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের যে আগ্রহ আছে, এসব দেখেই বুঝে নেওয়া যায় যে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা কী রকম। আমরা মাঠে যে কথাগুলো শুনি, আলোচনা হয়, বাস্তব কার্যক্রমের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।

আরএমএম/এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।