তৃতীয় টার্মিনাল দেশের জন্য নতুন অধ্যায়: বেবিচক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৩

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামারিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। তিনি বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। আজ আমাদের গর্বের দিন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিন।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে অনেক বাধা আমাদের পার হতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তিনটি নির্দেশনা (প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করা, কাজের গুনগত মান বজায় রাখা ও নির্দিষ্ট ব্যয় সীমার মধ্যে রেখে শেষ করা) দিয়েছিলেন। সেগুলো মেনে তৃতীয় টার্মিনাল স্বপ্ন থেকে বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মফিদুর রহমান বলেন, দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এভিয়েশন হাব করার যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, তৃতীয় টার্মানাল বাস্তবায়ন তার প্রথম ধাপ। এই প্রকল্পের উদ্যেক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে পারায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা সময়মতো এই প্রকল্প করতে পেরেছি। করোনা মহামারি আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

আরও পড়ুন>তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন/খুললো ঢাকার আকাশপথে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

এই টার্মিনাল নির্মাণে প্রতিটি শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে জানিয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অতুলনীয় টিম ওয়ার্ক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। বিভিন্ন সংস্থা, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে এই কাজ করেছি। তিনি বলেন, এই টার্মিনালে পুরোপুরি যাত্রী সুবিধা দিতে আরও কিছু সময় লাগবে। তবে আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টার্মিনালের পার্কিং ব্যবহার করা যাবে।

বেবিচক জানায়, তৃতীয় টার্মিনাল তিন তলা বিশিষ্ট। টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। যাত্রী ধারণ সক্ষমতা হবে বছরে ১৬ মিলিয়ন। তৃতীয় টার্মিনালের কার পার্কিংয়ে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি রাখা যাবে। উড়োজাহাজ পার্কিং বে থাকবে ৩৭টি। আগমনী যাত্রীদের জন্য লাগেজ বেল্ট থাকবে ১৬টি।

আরও পড়ুন>শাহজালাল বিমানবন্দর/ তৃতীয় টার্মিনাল ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী, নিলেন বোর্ডিং পাস

বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য ১ হাজার ৩০০ বর্গমিটার আয়তনের একটি কাস্টম হল থাকবে। সেখানে ছয়টি চ্যানেল থাকবে। চেক ইন কাউন্টার থাকবে ১১৫টি, এরমধ্যে স্বয়ংক্রিয় ১৫টি। ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকছে ১২৮টি। এরমধ্যে স্বয়ংক্রিয় ইমেগ্রেশন কাউন্টার ১৫টি। বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৬৬টি। আগমনী ইমিগ্রেশন কাউন্টার ৫৯টি। ভিভিআইপি ৩টি। প্রথম পর্যায়ে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে। পরবর্তী সময়ে আরেকটি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ যুক্ত করা হবে। বর্তমান টার্মিনাল দুটির সঙ্গে তৃতীয় টার্মিনালের কোনো সংযোগ থাকবে না। তবে পরবর্তী প্রকল্পে করিডোর নির্মাণ করা হবে।

এমএমএ/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।