দেশে খাদ্য মজুত আছে ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৩ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দেশে বর্তমানে সরকারি খাদ্য গুদামে মোট ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। খাদ্যশস্যের এ মজুত ‘সন্তোষজনক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজী আনারের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে খাদ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চলতি বছর ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে সরকারি খাদ্য গুদামে মোট ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ২ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন গম। খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের মজুত আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সূত্রে চাল ও গম সংগ্রহ এবং আমদানি কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমের আওতায় গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

মন্ত্রী বলেন, পরবর্তী সময়ে এ লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করে ৪ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চালের পরিবর্তে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৬ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ও ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজির আওতায় এরই মধ্যে ৫ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।

‘সম্পাদিত চুক্তির বিপরীতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির অবশিষ্ট গমের খালাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি অর্থবছরে বিদেশ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চাল আমদানির কার্যক্রম নেওয়া হয়নি’- বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

আইএইচআর/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।