বাংলাদেশে জলবায়ু অবকাঠামোয় বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান
শিশু ও তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়তে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশে জলবায়ু অবকাঠামোয় আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তারা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ আয়োজিত সংস্থাটির তরুণ জলবায়ু কর্মীদের সঙ্গে গণমাধ্যমের সংলাপে বক্তারা এ মন্তব্য করেন।
এতে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা গণমাধ্যমের সঙ্গে তাদের ২৯তম জলাবায়ু সম্মেলন পরবর্তী ভাবনা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তরুণরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে তাদের দাবি জানান।
এ সময় ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমানের সঞ্চালনায় এক প্যানেল আলোচনা হয়। এতে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী জলবায়ু কর্মীদের অভিজ্ঞতা এবং সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। এই প্যানেলে আরও অংশগ্রহণ করেন জিমরান মোহাম্মদ সাইক, ফারিয়া হোসেন, এম এ তামিম ও কিংবদন্তি সাবির।
- আরও পড়ুন
নদী রক্ষায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন সমন্বয়ের প্রস্তাব
কর্মবিরতি শুরু, সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ
সংলাপের উদ্বোধনী বক্তব্যে সেভ দ্যা চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি, ক্যাম্পেইন, কমিউনিকেশন্স এবং মিডিয়া বিভাগের পরিচালক জিনাত আরা আফরোজ বলেন, আপনারা তরুণ জলবায়ু কর্মীরা সবাই কমিউনিটি থেকে এসেছেন। আপনারা সব থেকে ভালো বোঝেন কমিউনিটির চাহিদা সম্পর্কে। যে কারণে বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানে আপনারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেভ দ্য চিলড্রেন ‘জেনারেশন হোপ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আপনাদের নেতৃত্বে, বৈশ্বিক জলবায়ু এবং অসমতা সংকট সমাধানের এই লড়াইয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই।
সেভ দ্য চিলড্রেনের হিউম্যানিটারিয়ান সেক্টরের পরিচালক মো. মোস্তাক হোসেন বলেন, আমরা দেখেছি যে যখন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছানোর প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ের প্রচেষ্টা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। সেভ দ্য চিলড্রেনে আমরা প্রাথমিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দেখেছি প্রাথমিক বার্তাগুলো ইউনিয়ন পর্যায়ে উপযোগী করে তৈরি করা প্রয়োজন। এই প্রচারণায় তরুণ কর্মীরা অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছেন। এটি আমাদের দেখিয়েছেন যে তাদের মধ্যে জলবায়ু সহনশীলতা বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা তরুণ জলবায়ু কর্মীদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই।
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, আমরা আগের জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম। এর ফলে প্রাথমিক বিনিয়োগ ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হয়। যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রথমবারের মতো এবার জেন্ডার অ্যাকশন প্রোগ্রাম শুরু করা হয়। বাংলাদেশে জলবায়ু অবকাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। যদিও যুব ও শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেশি ঝুঁকির মুখে। তবুও তাদের মধ্যে বিশ্ব নেতাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্বশীল ও জবাবদিহি করতে বাধ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। যাতে জলবায়ু সহনশীলতাকে শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে নিশ্চিত করা যায়।
এএএম/কেএসআর