পবিত্র আশুরা : অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে অনুপ্রেরণা

সম্পাদকীয়
সম্পাদকীয় সম্পাদকীয়
প্রকাশিত: ০৯:১৭ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২০

আজ পবিত্র আশুরা। ইসলামের ইতিহাসের শোকাবহ একটি দিন। কারবালার প্রান্তরে ঐতিহাসিক বিয়োগান্তক ঘটনার স্মরণে মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র আশুরা পালিত হবে। আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের হয়। অতীতের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে মিছিলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের এই সংক্রমণকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

বস্তুত কারবালার প্রান্তরে বিয়োগান্তক ঘটনার স্মরণে দিনটি পালন করা হলেও ইসলামের ইতিহাসে এ দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ঐতিহাসিক। কারণ বহু ঐতিহাসিক ঘটনা এই তারিখে সংঘটিত হয়েছিল। তাই বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ যথাযথ মর্যাদায় দিনটিকে স্মরণ করে থাকে। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, আশুরা হলো ইসলামের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস। এটি প্রতি হিজরী সনের মহরম মাসের দশ তারিখে পালিত হয়। আরবীতে ‘আশারা’ মানে ১০। আর সে কারণে দিনটিকে আশুরা বলে অভিহিত করা হয়।

মহরমের ৯ তারিখের দিবাগত রাত থেকে আশুরা পালন শুরু হয়। শিয়া সম্প্রদায়ের কাছে এ দিনটি বিশেষ মর্যাদাময়। কেননা এই দিনে মুহাম্মদ (স)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা) ইসলামের তৎকালীন শাসনকর্তা এজিদের সৈন্য বাহিনীর হাতে কারবালার প্রান্তরে শহীদ হয়েছিলেন। তাদের মতে, জনপ্রিয় ধারণায় আশুরা মূলত একটি শোকাবহ দিন। কেননা এদিন মুহাম্মদ (সা)-এর দৌহিত্র হোসাইন (রা) নির্মমভাবে শহীদ হয়েছিলেন।

সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য হযরত ইমাম হোসাইন (রা) এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে এজিদ বাহিনীর হাতে আত্মত্যাগ শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের সুমহান আদর্শ সমুন্নত রাখতে মানবতার ইতিহাসে সমুজ্জ্বল হয়ে আছেন। তাই কারবালার এই শোকাবহ ঘটনা ও পবিত্র আশুরার শাশ্বত বাণী অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। প্রেরণা জোগায় সত্য ও সুন্দরের পথে চলার। তাই আজ আশুরার এ পবিত্র দিনে কারবালার শহীদদের স্মরণ করতেই আয়োজন করা হয় নানা কর্মসূচির।

এ বছর পবিত্র আশুরা এসেছে এমন এক সময়ে যখন মরণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে পর্যুদস্ত গোটাবিশ্ব। বাংলাদেশও এই বাইরে নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রুখতে পবিত্র আশুরায় ঢাকায় খোলা স্থানে তাজিয়া মিছিল ও সমাবেশ করা যাবে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে আবদ্ধ জায়গায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। পুলিশের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশনা এসেছে। সবার সম্মিলিতি প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র আশুরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পালিত হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

এইচআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।