প্রতিরোধকেই গুরুত্ব দিতে হবে

এটা খুবই উদ্বেগজনক যে, অনেক দিন পার হওয়ার পরও করোনা মহামারিতে মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।
শিশু, মানসিক প্রতিবন্ধী, অন্য প্রতিবন্ধী, সংক্রামক ব্যাধিতে ভোগেন যারা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ক্যান্সার, কিডনি রোগী, ক্রনিক রেসপেরেটোরিতে আক্রান্তরা করোনায় বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। তারা যেন একেবারেই জনসমাবেশের দিকে না যায়। করোনা থেকে সুরক্ষায় বিশেষ করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠদের প্রতি নজর দিতে হবে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব পরিবারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘আপনার সুস্থতা আপনার হাতে। আপনি যত বেশি সচেতন থাকবেন, তত বেশি সুস্থ থাকবেন। নিয়মিতভাবে সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুবেন। শারীরিক দূরুত্ব বজায় রেখে চলবেন এবং কোনো ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না। মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে অবশ্যই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়বেন। সব সময় মাস্ক পরবেন।’
করোনায় খাবার গ্রহণের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ হচ্ছে ‘পানি বেশি করে খাবেন। তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার- টাটকা শাকসবজি, ফলমূল, সবুজ শাকসবজি খাবেন। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাবেন। প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস ডিম। আমরা নিয়মিতভাবে ডিম খেতে পারি। যাদের ফ্যাটের সমস্যা আছে, তারা কুসুমটা বাদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশটুকু খেতে পারেন। সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এটা পুরোটাই প্রোটিন আসলে। মাছ, মাংস সংগ্রহ না করতে পারলেও আমার মনে হয়, ডিমটা সংগ্রহ করতে পারি সবাই।’
মহামারির এই সময়ে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। নিজেরা মানার পাশাপাশি এ ব্যাপারে অন্যদেরও সচেতন ও সতর্ক করতে হবে। কথায় বলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
এইচআর/পিআর