কবির জন্মদিনে স্মৃতির পথ ধরে: ছবি বলছে ইতিহাস
‘৭ মে’-এই তারিখটিই যেন বাঙালির হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক আলোকিত চিহ্ন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছরই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসব, শ্রদ্ধা আর স্মরণ। কোথাও গীতাঞ্জলীর আবৃত্তি, কোথাও রবীন্দ্রসঙ্গীতের মুগ্ধতা সব মিলিয়ে যেন জীবন্ত হয়ে ওঠেন কবি নিজেই। এই ফটোগ্যালারিতে দেখবো পুরনো দিনের কিছু দুর্লভ মুহূর্ত, শান্তিনিকেতনের নিবেদন, ঢাকার কনসার্ট কিংবা পথনাটক, শিল্পীদের আঁকা কবির প্রতিকৃতি। ছবি: সংগৃহীত
-
১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার এক সংস্কৃতিবান জমিদার পরিবারে তার জন্ম। বয়স যখন আট বছর, তখনই কাব্যচর্চা শুরু। এরপর একে একে নাটক, গান, প্রবন্ধ, ছোটগল্প, উপন্যাস, চিত্রকলা সব শাখাতেই নিজের সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
-
সাহিত্য সাধনার পাশাপাশি কবিগুরু ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। তুলি হাতে ছবি আঁকায় মগ্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
-
ঠাকুরবাড়ির নিজস্ব নাটকের প্রায় সবগুলোতেই অভিনয় করেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিজের লেখা ‘বাল্মীকিপ্রতিভা’, ‘বিসর্জন’, ‘রাজা-রানী’, ‘চিরকুমার সভা’য় যেমন অভিনয় করেছেন, তেমনি অভিনয় করেছেন স্বর্ণকুমারী দেবী ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথের লেখা নাটকেও।
-
জীবদ্দশায় বিশ্বকবি তার কাব্য রচনায় ও আবৃত্তিতে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন সব গুণগ্রাহীদের।
-
আপন মনে বই পড়ছেন কবিগুরু আর তা মুগ্ধ হয়ে শুনছেন সবাই।
-
শিল্পীর তুলির রঙে আঁকা রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুসম্পর্ক ছিল বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সঙ্গে। কোনো এক সাক্ষাতে ফ্রেমবন্দী হয়েছিলেন গুণী দুই মানব।
-
রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছিলেন, ‘যা কিছু সত্য, সুন্দর ও চিরন্তন, তা কখনও মরে না।’ ১৯৪১ সালের ২২ শ্রাবণ তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন না ফেরার দেশে। কিন্তু তার সৃষ্টি, গান, কবিতা, দর্শন আজও আমাদের আশ্রয়, অনুপ্রেরণা।