বৃষ্টি আর লম্বা ছুটির শঙ্কা, তবুও ঈদে প্রস্তুত মিরপুর চিড়িয়াখানা
ঈদের ছুটিতে ঢাকার বিনোদনপ্রেমী মানুষের অন্যতম ভরসাস্থল মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। প্রতিবছরই ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু করে পরবর্তী কয়েকদিন এখানে উপচে পড়া ভিড় থাকে দর্শনার্থীদের। তবে এবারের চিত্র কিছুটা ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ছবি: সাইফুল হক মিঠু
-
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, এবারের ঈদে দীর্ঘ ছুটির সুযোগে অনেকেই রাজধানীর বাইরে যাবেন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈরি আবহাওয়া এক মুহূর্তে বৃষ্টি, আবার খানিক পরেই গরম। এর ফলে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রত্যাশিত মাত্রায় নাও পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা তাদের।
-
তবুও কোনো ঘাটতি রাখতে রাজি নন কর্মকর্তারা। দর্শনার্থীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
-
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় দর্শনার্থীর চাপের কথা বিবেচনায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি চূড়ান্ত। তবে এবারে যেহেতু টানা ছুটি, তাই দর্শনার্থীরা দিনে ভাগ হয়ে আসবেন বলে আমরা ভাবছি। খুব বেশি চাপ হয়তো একদিনে হবে না।’
-
চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে পুরোদমে।
-
বিভিন্ন খাঁচা, করিডোর, সড়ক ও বাগান পরিষ্কার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে রঙ-তুলিতে কিছু অংশে দেওয়া হচ্ছে নতুন সাজ।
-
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের দিন চিড়িয়াখানা যথারীতি খোলা থাকবে। ঈদের পরবর্তী তিন দিন ৮, ৯ ও ১০ জুন দর্শনার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি বছর ঈদের পরদিন থেকে অন্তত ৩ থেকে ৪ লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটে এই সময়টাতে।
-
পরিচালক বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে দর্শনার্থীরা ১৮টি নির্ধারিত ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে পারবেন। আবার যদি গরম পড়ে, সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাও থাকবে।
-
ভিড় সামলাতে এবার স্থায়ী টিকেট কাউন্টারের বাইরে অস্থায়ী টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রও রাখা হবে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে চিড়িয়াখানা। মাত্র ৫০ টাকার টিকিটেই দর্শনার্থীরা দিনভর প্রাণিজগতের নানা বৈচিত্র্য উপভোগ করতে পারবেন।
-
প্রতিবছরের মতো এবারও দর্শনার্থীর ঢল নামবে এমন প্রত্যাশাই করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে আবহাওয়া ও ছুটির দৈর্ঘ্য সামগ্রিক ভিড়ে কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা দেখা যাবে ঈদের পরের দিনগুলোতেই।