যানজটে আটকে আছে ঈদ আনন্দ, মহাসড়কে দীর্ঘশ্বাস
প্রিয়জনের মুখ দেখার আকুলতায় হাজারো মানুষ ছুটছে গ্রামের পথে। কারো মনে মায়ের রান্না করা পায়েসের স্বাদ, কারোর চোখে বাবার সঙ্গে নামাজ পড়ার ছবি। কিন্তু সেই আনন্দভরা যাত্রায় ছন্দপতন ঘটিয়েছে যানজটের থমকে থাকা বাস্তবতা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক যেন এক বিষণ্ণ দৃশ্যপট; ঘণ্টার পর ঘণ্টা থেমে থাকা গাড়ি, ক্লান্ত শিশু, বিরক্ত যাত্রী আর বাসের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে চলা তরুণ। ঈদের উচ্ছ্বাস যেখানে থাকার কথা ছিল, সেখানে এখন কেবল দীর্ঘশ্বাস আর হতাশার দীর্ঘ সারি। ছবি: আব্দুল্লাহ আল নোমান
-
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ৪৫ কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।
-
প্রতিদিনের মতো ঈদের আগের ব্যস্ততম এই সড়কে আজ সকালেও দেখা যায় স্থবিরতা। যানজটের ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যমুনা সেতু থেকে করটিয়া পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এবং মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কি পর্যন্ত আরও ১৫ কিলোমিটার সড়কে। ধীরগতির কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে ঘরমুখো যাত্রীদের।
-
চরম দুর্ভোগ সত্ত্বেও ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নানা কষ্ট সহ্য করেই যাত্রা করছেন মানুষ।
-
কেউ খোলা ট্রাকে, কেউবা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাসের ছাদে চড়ে ফিরছেন গ্রামের বাড়ি। যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া আদায় করছে অনেক পরিবহন।
-
৪ জুন ভোর থেকে শুরু হওয়া এই যানজটের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, বিভিন্ন স্থানে গাড়ি বিকল হওয়া ও যমুনা সেতুর স্বল্প ধারণক্ষমতা; সব মিলিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ এই পরিস্থিতি।