প্ল্যাটফর্মে প্রতীক্ষা, ছাদে রওয়ানা: বাড়ির টানে অসম লড়াই
অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার। রাত পোহালেই ঈদ। তাইতো শেষ সময়ে বাড়ি ফেরার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছেন নগরবাসী। সেই বাড়ি ফেরার লড়াই এখন চোখে পড়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে। ছবি: মাহবুব আলম
-
সকাল থেকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মজুড়ে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, ক্লান্ত চোখে ভেসে ওঠে প্রিয়জনের মুখ।
-
কারোর হাতে স্যুটকেস, কারোর কোলে শিশু, আবার কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদেই চেপে বসেছেন বাড়ির পথে।
-
ঈদের আগের দিন শহর ছাড়ার এই যুদ্ধ যেন শুধু একটা ছুটি নয়, বরং ফিরে যাওয়ার এক আবেগের উৎসব; যেখানে কষ্ট, ক্লান্তি আর আনন্দ মিলেমিশে একাকার।
-
টিকিট কাটা যাত্রীদের অপেক্ষা যেমন দীর্ঘ, তেমনি টিকিট না পাওয়া অসংখ্য মানুষও চেষ্টা করছেন ট্রেনের যেকোনো খালি জায়গায় ঠাঁই করে নিতে।
-
কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা বসে, আর কেউ পছন্দ করছেন ছাদকেই; যেখানে নেই কোনো নিরাপত্তা, নেই কোনো ছায়া। কেবল আছে বাড়ি ফেরার একটুখানি আশার আলো।
-
এ যেন এক জনসমুদ্র।
-
স্টেশনে আসা এক গৃহবধূ বলেন, টিকিট পাইনি। বাচ্চা নিয়া ছাদে উঠা ঝুঁকি, তাই ট্রেন আসলেই দেখি কোথাও একটা জায়গা পাই কিনা। ঈদের আগে বাড়ি না ফিরলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়।
-
কমলাপুর স্টেশনের বুক জুড়ে দেখা গেলো এক আত্মিক টান, এক মনছোঁয়া দৃশ্য-হাজারো মানুষ নানা কষ্ট নিয়ে ফিরছে শেকড়ে, ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে।
-
এদিকে কমলাপুর স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
-
স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
-
ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৪ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আগামী ১২ জুন পর্যন্ত মোট ১৫ দিন যাত্রীসেবা, স্টেশনে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবেন তারা। যেকোনো সংকটে যাত্রীদের পাশে থাকতে প্রস্তুত থাকবে বাহিনীর সদস্যরা।
-
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।