গাবতলীতে আটকে ঈদযাত্রা, শিডিউল বিপর্যয়ে নাকাল যাত্রীরা
ঈদের আগের দিন রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে যেন ধৈর্য্যর শেষ পরীক্ষা দিচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। হাতে টিকিট থাকলেও গাড়ি নেই, সময় পার হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। গরম আর যানজটে ভেঙে পড়ছে ঈদযাত্রার স্বপ্ন। শিডিউল বিপর্যয়ে হাহাকার উঠেছে যাত্রীদের কণ্ঠে। ছবি: সালাহ উদ্দিন জসীম
-
কেউ পরিবার নিয়ে বসে আছেন ফুটপাতে, কেউবা রোদ মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন কাউন্টারের সামনে।
-
যানজট আর গাড়ির সংকটে ঘরে ফেরা মানুষগুলো যেন আটকে পড়েছে গাবতলীতে।
-
মূলত মহাসড়কের দীর্ঘ যানজটের কারণে দূরপাল্লার বাসগুলোতে শিডিউল ভেঙে পড়েছে। ফলে সময়মতো টিকিট কেটেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের, আর সেই অপেক্ষাকে আরও অসহনীয় করে তুলেছে গ্রীষ্মের রোদ।
-
রাজধানীর কল্যাণপুর, মাজার রোড এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, ঈদযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
-
শ্যামলী, এস আর, শাহ ফতেহ আলী, সুপার সনিকসহ নামকরা পরিবহন কোম্পানির কাউন্টারগুলোতে লম্বা লাইন।
-
কেউ ফুটপাতে বসে আছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, কেউবা ভিড় ঠেলে খোঁজ নিচ্ছেন কখন বাস ছাড়বে।
-
বগুড়াগামী যাত্রী শাকিলা আক্তার সকাল ৭টার বাসের টিকিট কেটেছিলেন শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের। বেলা ১১টা বাজলেও তার গাড়ির দেখা নেই। আরেক যাত্রী মোসলেম উদ্দিন ভোরেই এসে রংপুরগামী বাসের অপেক্ষায় বসে আছেন, কিন্তু এখনো বাস আসেনি।
-
এ বিষয়ে শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার কাজী বাবুল জানান, সকাল ৭টার গাড়ি এখন ১১টায় ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাকি গাড়িগুলোর পরিস্থিতি আরও খারাপ। মহাসড়কের দীর্ঘ যানজট, কল্যাণপুর-গাবতলী এলাকার ভীষণ জ্যাম; সব মিলিয়ে প্রতিটি গাড়ি ২ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরিতে ঢাকায় ফিরছে।
-
যাত্রীদের চোখে ঈদ মানে শুধুই আনন্দ নয়, এতে মিশে আছে প্রিয়জনের মুখ দেখার আকুলতা। আর সেই আকাঙ্ক্ষাই রোদ, ঘাম আর অপেক্ষাকে উপেক্ষা করে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে গাবতলীর যানজটপীড়িত রাস্তায়, ঈদযাত্রার অনিশ্চয়তায়।