সরকারি স্কুলেই শুধু বৃত্তি পরীক্ষা, বেসরকারি স্কুলে হতাশা ও ক্ষোভ
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কেবল সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা-প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন নির্দেশনা প্রকাশের পর থেকেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেনগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা। ১৭ জুলাই জারি হওয়া ওই পরিপত্র অনুযায়ী, দেশের হাজারো মেধাবী শিশু এবার বঞ্চিত হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে। বিষয়টি শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মহলে চরম প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। এরই প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। ছবি: মাহবুব আলম
-
‘আমার ছেলে সারাবছর প্রস্তুতি নিয়েছে, এখন বলে পরীক্ষা দিতে পারবে না? এটা কেমন বিচার!’ আক্ষেপে ভেঙে পড়লেন এক অভিভাবক। মুখে প্রশ্ন, চোখে ক্ষোভ আর হতাশা।
-
এই ঘোষণার পর থেকেই সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও আন্দোলনের সুর। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয় শতাধিক শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা।
-
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনগুলো একটি বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। শিক্ষার মান, শৃঙ্খলা এবং শিশুদের প্রস্তুতির দিক থেকে এগিয়ে থাকা অনেক কিন্ডারগার্টেন অভিভাবকদের আস্থার জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কিন্তু নতুন এই সিদ্ধান্ত যেন এক প্রকার ‘শাস্তি’ হয়ে এসেছে তাদের জন্য।
-
মানববন্ধনে অংশ নিয়েছে অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থীও। হাতে পোস্টার, ‘বৃত্তি নিয়ে বৈষম্য, মানি না মানব না’।
-
এই বিতর্কিত পরিপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং সাধারণ মানুষ। বেসরকারি শিক্ষকদের দাবি, যদি সরকার নীতিগত পরিবর্তন আনতেই চায়, তবে তা হোক ধাপে ধাপে ও আলোচনার ভিত্তিতে। হঠাৎ করে একটি শ্রেণিকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া শিশুদের মানসিক বিকাশ, আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহকে চরমভাবে আঘাত করে।