৫৭ বছরেও চিরতরুণী জুহি চাওলা
বলিউডের রঙিন জগতে এমন কিছু মুখ আছে, যাদের উপস্থিতি সময়কে যেন থামিয়ে দেয়। জুহি চাওলা তেমনই এক নাম-যার হাসিতে মিশে আছে সরলতা, মায়া আর চিরযৌবনের ছোঁয়া। নব্বইয়ের দশকের সেই মিষ্টি মুখ আজ ৫৭ বছরে পা রাখলেন, তবু যেন সময় তার কাছে হার মেনেছে। পর্দায় কিংবা বাস্তবে, জুহির প্রাণবন্ত হাসি এখনও মনে করিয়ে দেয় যৌবন শুধু বয়সে নয়, মনেও থাকে। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
১৯৬৭ সালের এই দিনে লুধিয়ানায় জুহির জন্ম। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন প্রাণবন্ত, মিষ্টভাষী ও আত্মবিশ্বাসী। পড়াশোনার পাশাপাশি নাচের প্রতি ছিল তার গভীর টান। ভাগ্যের আশ্চর্য মোড় আসে ১৯৮৪ সালে, যখন তিনি মিস ইন্ডিয়া খেতাব জয় করেন। সেখান থেকেই বলিউডে প্রবেশের দরজা খুলে যায় তার জন্য।
-
প্রথম সিনেমা ‘সুলতানত’ (১৯৮৬) দিয়ে অভিনয়জীবনের শুরুটা খুব আলোচিত না হলেও, ১৯৮৮ সালে আমির খানের সঙ্গে ‘কায়ামত সে কায়ামত তক’ মুক্তি পাওয়ার পর সবকিছু বদলে যায়। জুহির হাসি, সরলতা ও পর্দার প্রাণবন্ত উপস্থিতি মুহূর্তেই জয় করে নেয় দর্শক হৃদয়।
-
নব্বইয়ের দশকে বলিউডে যে চারজন অভিনেত্রী রাজত্ব করেছেন (মাধুরী, শ্রীদেবী, কাজল আর জুহি) তাদের মধ্যে জুহির অবস্থান ছিল একেবারে আলাদা। তিনি ছিলেন ‘গার্ল নেক্সট ডোর’ এর বাস্তব রূপ, যাকে দেখে মনে হতো এই মেয়েটিই হয়তো পাশের বাড়িতে থাকে!
-
‘হাম হ্যায় রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘ইয়েস বস’, ‘দর’, ‘ইশক’, ‘ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’ প্রতিটি সিনেমায় তিনি প্রমাণ করেছেন, বাণিজ্যিক সিনেমার গ্ল্যামারের মধ্যেও মিষ্টি হাসির পেছনে থাকে অভিনয়ের গভীরতা।
-
বিশেষ করে ‘দর’ ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে তার সংবেদনশীল অভিনয় অনেকের চোখে এনে দিয়েছিল অশ্রু। আর ‘ইয়েস বস’ তাকে পরিণত করে এক নিখুঁত রোমান্টিক নায়িকায়।
-
জুহি কেবল অভিনেত্রীই নন, তিনি একজন সফল প্রযোজক ও উদ্যোক্তা। শাহরুখ খান ও গৌরী খানের সঙ্গে তিনি ‘ড্রিমজ আনলিমিটেড’ প্রযোজনা সংস্থা গড়ে তোলেন, যার মাধ্যমে ‘ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি’ ও ‘আশোকা’–র মতো সিনেমা উপহার দেন।
-
এছাড়া তিনি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডার্স এর সহ-মালিক। বলিউডের গ্ল্যামার পেরিয়ে তিনি ক্রীড়াঙ্গনেও নিজের জায়গা তৈরি করেছেন বুদ্ধিমত্তা ও ব্যবসায়িক দূরদর্শিতায়।
-
চলচ্চিত্র থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে গেলেও জুহি সমাজসেবায় সক্রিয় রয়েছেন। তিনি পরিবেশ রক্ষা ও শিশুদের শিক্ষা সংক্রান্ত নানা উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত।
-
পঞ্চাশ পেরিয়ে জুহি আজও সমান প্রাণবন্ত। তার হাসি যেন সময়কে থামিয়ে দেয়। বলিউডে এখন নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মাঝেও জুহির প্রভাব স্পষ্ট। অনেকেই তাকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন তার আত্মবিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও ইতিবাচক মনোভাবের জন্য।
-
পঞ্চাশ পেরিয়ে জুহি আজও সমান প্রাণবন্ত। তার হাসি যেন সময়কে থামিয়ে দেয়। বলিউডে এখন নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের মাঝেও জুহির প্রভাব স্পষ্ট। অনেকেই তাকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন তার আত্মবিশ্বাস, শৃঙ্খলা ও ইতিবাচক মনোভাবের জন্য।